আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ক্রাইস্টচার্চে। এই ম্যাচটিই বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। তবে সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই ডিপার্টমেন্টেই উন্নতি করতে হবে। তবে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ওয়াডের আগে ভিন্ন কন্ডিশন ও নিউজিল্যান্ড বোলারদের খেলতে সমস্যার কথা জানালেন মোহাম্মদ মিঠুন।
প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানের সঙ্গে মাশরাফি ও মুস্তাফিজদের বোলিং ছিল নির্বিষ। অপরদিকে নিউজিল্যান্ড পেসাররা বল হাতে ছুুটিয়েছে আগুনের ফুলকি। বাংলাদেশের টপঅর্ডার সবকটি উইকেটই তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড পেসার। যার কারণে দলীয় রান অর্ধশতক পেরনোর আগেই সাজঘরে ফিরে যায় চার ব্যাটসম্যান।
একমাত্র ৯০ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মিঠুন। চার ব্যাটসম্যানই পার করতে পেরেছিলেন কুড়ি রানের কোটা। অন্যদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে রান তুলতে পারেননি। ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যর্থতার পেছনে ১৪০-১৫০ গতির বল খেলতে অনভ্যস্ততার কধা জানিয়েছেন মিঠুন।
তিনি বলেন, ওদের প্রায় সব বোলারই ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করে। এমন গতিতে খেলে আমরা তো অভ্যস্ত না। আমাদের দেশের কন্ডিশনে ১৩০ কিলোমিটারের গতির বল খেলে অভ্যস্ত। ১৩০ থেকে হঠাৎ ১৫০ কিলোমিটার গতির বল খেলতে গেলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি রান পেয়েছি তার মানে আমি সহজে খেলতে পেরেছি তা নয়। যদি বলি আমার কষ্ট হয়নি তাহলে সেটা হবে মিথ্যা। এখানে রান পেতে হলে কষ্ট করাই লাগবে ’
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে পরশু ক্রাইস্টচার্চে নতুনভাবে শুরু করতে হবে। মিঠুন মনে করেন সিরিজে ভালো করতে হলে কন্ডিশনের সঙ্গে আগে মানিয়ে নিতে হবে তাঁদের, ‘যেখানেই খেলি, যে কন্ডিশনেই খেলে মানিয়ে নেওয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে ভালো ফল আসার সম্ভাবনা খুবই কম। যেখানেই খেলি সেখানে প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং ভালো খেলা।’