আগামীকাল থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ দল। সাকিবের অনুপস্থিতি সেটাকে আরো কষ্টসাধ্য করেছে টাইগারদের জন্য। তবে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে রেজাল্ট পেতে গুরু দায়িত্বটা কাঁধে নিতে নিতে হবে পেসারদের এমনটাই করছেন করছেন ড্যানি মরিসন।
বিপিএলে উইকেট শিকারির সেরা পাঁচের প্রথম স্থানটি রয়েছে সাকিব আল হাসানের দখলে। কিন্তু এর পরবর্তী চারটি জায়গাই রয়েছে দেশীয় পেসারদের দখলে। পঞ্চম স্থানে থাকা একমাত্র সাইফুদ্দিন ১৯ উইকেট ছাড়া উপরের সকলেই ২২ উইকেট তুলে নিয়ে আসর শেষ করেছেন। ইনজুরিতে বাদ পড়া সাকিব ও তাসকিন ছাড়া অন্য তিন পেসার মাশরাফি, রুবেল ও সাইফুদ্দিন আছে নিউজিল্যান্ড সফরে। এছাড়া আছেন মুস্তাফিজ, খালিদ আহম্মেদ ও শফিউল ইসলাম। বাংলাদেশের এমন পেস আক্রমণকে রোমাঞ্চকর বলেই মনে করেছেন ড্যানি। নিউজিল্যান্ডে সফলতা পেতে তাই পেসারের পারফরম্যান্সের উপরই জোর দিলেন তিনি।
ড্যানি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমার মনে হয় দীর্ঘ এই সফরে ভালো করার জন্য যেমন পেস বোলিং বিভাগ দরকার, বাংলাদেশের তা রয়েছে। আমি জানি মুস্তাফিজ ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলতেই বেশি পছন্দ করে, তবুও তার প্রতিভা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। রুবেলের গতি যথেষ্ট। দুই বছর আগেও রুবেলের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এখন সে নিজেকে বেশ গুছিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যেও বৈচিত্র্য আছে। তারা ভিন্ন ভিন্ন উচ্চতার। দুজন বাঁহাতি পেসারও রয়েছে। তারা বেশ ভালো সুইংও করতে পারে।’
এদিকে কিছু দিন আগেই টেস্টে অভিষেক হওয়া খালিদকে নিয়েও আশাবাদি ড্যানি। তিনি বলেন, ‘একটা পেসার আছে, খালিদ আহমেদ নাম, বেশ লম্বা করে। বিপিএলে ওর যেমন পারফরম্যান্স দেখলাম তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। খালিদ আহমেদ বাংলাদেশের বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র্য আনতে পারবে।’
এদিকে শেষ মুহূর্তে ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া তাসকিন আহমেদের জন্য হতাশ ড্যানি। তিনি বলেন, ‘এটা আসলেই দুঃখজনক। সে মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করতে পারতো। তরুণদের জন্য এমন হওয়া (ইনজুরি) খুব কঠিন। তাসকিনের জন্য সমবেদনা। সে সত্যিই কার্যকর হতে পারতো।’
সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২১ ম্যাচ খেলে ফেললেও প্রাপ্তির খাতা এখনো শূন্য। বাংলাদেশের লড়াইটা আরো কঠিন হয়েছে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে টাইগাররা।