আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম বলছে, পাকিস্তান সফরে যেতে হবে। এখনো সফরসূচি চূড়ান্ত হয়নি। তবে নতুন বছরের শুরুতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নিরাপত্তার শঙ্কা থাকায় অনেকেই পাকিস্তান সফরের পক্ষে নন। তবে বিসিবি সেখানে যেতে চায়। ভেতর থেকে অন্তত এমন খবরই পাওয়া যাচ্ছিলো এতদিন। এবার বিসিবি সভাপতির কথাতেই মিললো সেই ইঙ্গিত।
শনিবার সন্ধ্যায় শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপের এক পর্যায়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, কেউ (কোন ক্রিকেটার) যদি না যেতে চায়, যাবে না। এটা তো জোর করার কিছু নেই। বোর্ড থেকে কাউকে জোর করে পাঠানো হবে না। এটা হল এখন পর্যন্ত যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আমার চিন্তা। কাউকে জোর করে পাঠানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিকল্প টিম যাবে, নাকি ওরাই যাবে, সেটি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।
বোর্ড সভাপতি কথায় যে ইঙ্গিতটা মেলে তাহলো- পাকিস্তানের টিম একটা যাবেই! আর দলে কারা থাকবেন সেটা নির্ভর করছে কোন কোন খেলোয়াড় সেখানে যেতে চান বা কে কে যেতে চান না তার ওপর।
নাজমুল হাসান অবশ্য একথাও বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাবার ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে। আগামী চার পাঁচ দিনের মধ্যেই সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
পাপন বলেন, আমরা সিকিউরিটির ব্যাপারে সরকারের কাছে যে আবেদন করেছিলাম, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপারে ছাড়পত্র পাব কি না, সেটির জন্য পাঠিয়েছিলাম। এর আগে মেয়েদের টিম গিয়েছে, এইচপি দল গিয়েছে। ওরা খেলে এসেছে। জাতীয় দলের ছাড়পত্র এখনো আমরা পাইনি। সিকিউরিটির ব্যাপারে যদি জিজ্ঞেস করেন, সেটা অনূর্ধ্ব-১২ হোক কিংবা জাতীয় দল; নিরাপত্তা নিরাপত্তাই। সবার জন্য একই হওয়ার কথা। তাই আমরা ধরে নিচ্ছি সম্ভাবনা রয়েছে নিরাপত্তা ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ার।
তিনি আরো বলেন, তারপরও যেহেতু আমরা হাতে পাইনি কাগজটা এবং ওনারা গিয়েছেন দেখেছেন। সেক্ষেত্রে আমরা আমরা আশা করছি যে কোনো দিন পেয়ে যাব। পাওয়ার পর বলতে পারব আমাদের সিদ্ধান্তটা কী। কারণ এখানে একটা হচ্ছে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স। পরবর্তীতে বড় প্রশ্ন আছে প্লেয়ারদের। তাদের মতামতও এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কে যেতে চাইবে কে চাইবে না। এখানে অনেকগুলো ব্যাপার আছে। বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। সবমিলিয়ে সবকিছু প্রায় শেষের দিকে আছে। নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়ার পরই আমরা বসব। আশা করছি আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে এটার একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।