Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএলের জমকালো উদ্বোধন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৩০ AM আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:১৫ PM

bdmorning Image Preview


ক’দিন ধরেই সরগরম মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। তবে হোম অব ক্রিকেটের মূল ভেন্যুতে ক্রিকেটারদের পদধুলি পড়েছে যৎসামান্যই। নিজেদের ভূমি ত্যাগ দিয়ে পাশের একাডেমি ভবনেই দিনভর অনুশীলনে সময় কাটিয়েছেন তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। শেষ সময়ে মাঠে নামার প্রস্তুতিটায় কিছুটা ভাটা পড়লেও উৎসবের রঙ ঠিকই লেগেছিল তাদের শরীরী ভাষায়।

ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের বাইরেও চোখে পড়েছে নানা ব্যস্ততা। ভাঙা-চোড়া গ্যালারির ফিকে হয়ে যাওয়া চেয়ারগুলেতেও লেগেছে রঙের ছোঁয়া। হোম অব ক্রিকেট যেন ফিরে পেয়েছে তার হারানো যৌবন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এবারের ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টির জমজমাট এই আসরটি রাঙানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ব্যাপী এই ক্রিকেটযজ্ঞের গোড়াপত্তন হতে যাচ্ছে আজ জাঁকালো এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। জেমস-কৈলাশ খেরের দরাজ কণ্ঠের গানের সঙ্গে আলোর রাশনাইয়ে টানা ৬ ঘন্টা বুঁদ হয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। বলিউডের দুই সুপারস্টার সালমান-ক্যাটরিনার নাচের ছন্দের তাল দেখা যাবে মিরপুরে।

জমকালো উদ্বোধনের শুরুটা হবে বিকেল ৫টা থেকে। শুরুতে গাইবেন দেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মঞ্চে উঠবেন এদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যান্ড তারকা জেমস। সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের ঠিক আগে গাইবেন সুরকণ্ঠী মমতাজ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় দেখা যাবে সনু নিগামকে। এরপর কৈলাশ খের। রাত সাড়ে ৮টায় মঞ্চে উঠবেন ক্যাটরিনা কাইফ। সবার শেষে স্টেজ মাত করবেন সালমান খান। টানা তিন আসর পর সপ্তম বিপিএল দিয়ে আবারও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব।

বিপিএল চতুর্থ আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছিল সময় স্বল্পতার কারণে। ভয়াবহ বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চলের অবস্থা খুব খারাপ ছিল বলে গত বছরের শুরুর আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও বাতিল করেছিল বিসিবি।

তার যাবতীয় টাকা আর্তমানবতার সেবায় ত্রাণ দিয়েছিল বিসিবি। আর ষষ্ঠ আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে। এবার সকল আক্ষেপ একেবারে পুষিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।

একজন চিত্রশিল্পী যেমন তার চিত্রকর্ম শেষের দিকে তুলির শেষ আঁচড়টি টানেন ঠিক তেমনি বিপিএল কনসার্টের মঞ্চের শেষ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। মূলু মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ। কর্মীরা এখন ছুটছেন লাইট নিয়ে। সেই লাইট বসানো মঞ্চের ওপরে।

কেউ ব্যস্ত পারফর্মারদের গ্রিন রুম তৈরি নিয়ে, আবার কেউ বা সাউন্ড চেক নিয়ে। অনেকে আবার মাঠে চেয়ার বসানো নিয়ে ব্যস্ত। পরীক্ষার অংশ হিসেবে থেকে থেকে জ্বলে উঠছে জায়ান্ট স্ক্রিন। স্ক্রিনগুলো বসানো হয়েছে মঞ্চের সামনে ও পেছনে। সংখ্যা মোট ৮টি। এর মধ্যে ৬টি পেছনে, দুটি সামনে।

পারফর্মারদের গ্রিন রুমগুলোর দিকে তাকালে যে কারও চোখ আঁটকে যাবে। ঠিক যেমন হবিট হাউস!
গতকাল দুপুরে শের-ই-বাংলায় এসে উদ্বোধনী কনসার্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা। পুরো শের-ই-বাংলাকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল নিরাপত্তার চাদরে। এর পেছনে কারণও আছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়েই রাত পোহালে পর্দা উঠবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের।

তবে মাঠের খেলা অবশ্য গড়াবে আরও তিনদিন পর। আসছে বুধবার দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিপিএলের সপ্তম আসর। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও রংপুর রেঞ্জার্স।

Bootstrap Image Preview