Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঘর পেয়ে কাঁদলেন তারা, বললেন আজীবন ক্ষমতায় থাকুক শেখ হাসিনা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:১৪ PM আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:১৪ PM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর ‘যার জমি আছে, ঘর নাই’ ও দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেল যশোরের শার্শা উপজেলার ৩৫৬টি অসহায় পরিবার।

সরকারি পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে কেঁদে ফেলেন হতদরিদ্র এসব পরিবারের সদস্যরা। এই সঙ্গে বর্তমান সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের দুর্দশা লাঘবে ‘যার জমি আছে, ঘর নাই’ ও দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পাকা ঘর তৈরি করে দিয়েছে সরকার। ‘যার জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্প থেকে ৩৩৩টি এবং দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২৩টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়।

সরকারি ঘর পাওয়া একাধিক পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় ও তুফানে অনেক কষ্টে ভাঙাচোরা ঘরে দীর্ঘদিন বসবাস করেছি আমরা। পাকা বাড়ি নির্মাণ করা তো দূরের কথা আমাদের অনেকের সংসারই চলে না ঠিকমতো। কখনো কল্পনাও করিনি সরকার আমাদের পাকা বাড়ি বানিয়ে দেবে। এমন অবস্থায় নতুন বাড়ি পেয়ে আমরা খুশি এবং আনন্দিত। শেখ হাসিনার জন্য আমরা আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করব, তিনি আজীবন প্রধানমন্ত্রী থাকুক।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মন্ডল বলেন, ‘যার জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নির্মাণের সামর্থ্য নেই তাদেরকে ঘর করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় শার্শা উপজেলায় ৩৩৩টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ঘর নির্মাণকাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দরিদ্র পরিবারগুলোকে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২৩টি পরিবারকে ঘর করে দিল সরকার

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, শার্শা উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ২৩টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। গুণগত মান বজায় রেখে সুন্দরভাবে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব ঘর ভুক্তভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামীতে ঘরের পরিমাণ বাড়ানো হলে প্রান্তিক মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

Bootstrap Image Preview