গাজা উপত্যকায় ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যার পর অসহায় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। হামলার জন্য ইতিমধ্যে সেখানে কয়েক শ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে নেতানিয়াহু সরকার। ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে প্রতিরোধ সংগঠন ইসলামিক জিহাদের শীর্ষ কমান্ডার বাহা আবু আল-আত্তা ও তার স্ত্রী আসমাকে হত্যার মধ্য দিয়ে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সর্বশেষ উত্তর গাজা উপত্যকার বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। হামলায় আহত হয়েছেন আরো ৪৫ ফিলিস্তিনি। এসব হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানায়, দেশটির সেনাবাহিনী গাজায় কমপক্ষে ২০ বার বিমান হামলা এবং ১০ বার গোলাবর্ষণ করেছে। গাজার আবাসিক ভবন, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিভিন্ন স্থাপনা ও কৃষি জমি লক্ষ্য করে এসব হামলা চালান হয়।
জবাবে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের উদোদশে রকেট হামলা চালিয়েছে ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, গাজা থেকে মঙ্গলবার সারাদিনে প্রায় ২শ রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এসব হামলায় কোনো ইসরায়েলি হতাহত হয়নি। কেননা এসব রকেটের ৯০ শতাংশই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এদিকে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রকেট হামলার কারণে সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েল। এছাড়া গাজার সীমন্ত বরাবর কয়েক শ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে নেতানিয়াহু সরকার।