Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভিক্ষুকের তালিকায় মেম্বারের স্বামীসহ পরিবারের ৫ জনের নাম, এলাকায় তোলপাড়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০১ PM আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০১ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


যশোর সদর উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভিক্ষুকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বররা সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভিক্ষুকদের তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দিচ্ছেন। 

এর মধ্যে যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৭.৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম নিজের স্বামী, দুই পুত্র ও দুই পুত্রবধূর নাম দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নামের তালিকা জমা দিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের একটি সূত্র জানায়, যশোর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ভিক্ষুকদের তালিকা চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামকে একটি চিঠি দেন। যার স্মারক নম্বর ৫৮৬/২০১৯, তারিখ : ২২.০৭.২০১৯। তালিকা চাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যদের তালিকা দেয়ার আহবান করেন।

এরপর ৭,৮ ও ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম তার স্বামী আতর আলী (৭০), পুত্র সাদিকুর রহমান (৪৫), পুত্রবধূ রিমা বেগম (৩৫), পুত্র তরিকুল ইসলাম (৪০) পুত্রবধূ শিরিনা বেগমের (৩৫) নামের তালিকা করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন।

চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিষয়টি বুঝতে পেরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন ও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসেম আলী বিশ্বাসকে জানান।

তারা ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ওই তালিকা দেয়নি। আমার স্বামী তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে দিয়েছেন।

ফতেপুর ইউনিয়নের তারাগঞ্জ বাজারে শফিয়ার নামে এক ব্যক্তি জানান, আনোয়ারা বেগমের স্বামী আতর আলীর তারাগঞ্চ বাজারে বড় একটি চায়ের দোকান আছে। তার ছেলে সাদিকুরের জুতা ও সেন্ডেলের দোকান, তরিকুল ইসলামের খুচরা ও পাইকারি বড় মুদির দোকান রয়েছে। এছাড়া আতার আলী বষস্ক ভাতা, ছেলে সাইদুর ও তরিকুল ইসলাম সরকারের ৪০ চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে নাম রয়েছে। এছাড়া তাদের একটি মোটরসাইকেলও রয়েছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগমের পরিবারের সকল সদস্য স্বাবলম্বী হওয়ার পরও ভিক্ষুদের তালিকায় তাদের নাম কিভাবে যায় সে প্রশ্ন করেছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি।

ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম তার স্বামী, দুই পুত্র ও দুই পুত্র বধূর নাম দিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই বাচাই করে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

 

Bootstrap Image Preview