Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জরিপভিত্তিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নই: তথ্যমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:৪৮ PM আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে অনেক সংস্থা আছে যারা শুধু খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে। বিভিন্ন জরিপভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিম্নগতি দেখানোর চেষ্টা করে। এসব প্রতিবেদনের সঙ্গে আমি একমত নই। তবে বিষয়গুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে আমার কোনো দ্বিমত নেই।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অথবা বাণিজ্যমন্ত্রীকে রাখলে ভালো হতো। তারাই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারতেন। তবুও আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের এসব তথ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজটা করতে পারবো। আমি সম্প্রতি এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেছি।

তিনি বলেন, বিদেশে গেলে দেখা যায়, প্রতিটি রাস্তায়, মোড়ে কিংবা রেস্টুরেন্টে প্রচুর মানুষ ধূমপান করে, সেখানে অধূমপায়ীদের অবস্থান করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেগুলো আমাদের দেশে নেই। আমাদের দেশের রেস্টুরেন্টে বসে ধূমপানের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি হয় না। অর্থাৎ, আমাদের দেশে ধূমপায়ীদের জন্য কোনো করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না। তাই, আমি মনে করি, এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করে আমাদেরকে ছোট করা অন্যায়। ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে ধূমপানমুক্ত হবে। আগে, দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ ধূমপান করতো, এখন তা ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের অগ্রগতি হচ্ছে, তার সঙ্গে কিছু ক্ষতিকর দিকও সামনে চলে আসছে। তামাকজাত পণ্য ছাড়াও ই-সিগারেট আমাদের তরুণ সমাজকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সিনেমার সেন্সরবোর্ডে ধূমপান মৃত্যুর কারণ কথাটি লেখা না থাকলে আটকে দেওয়া হয়। তবে, আমাদের গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে আরও এগিয়ে আসতে হবে। জনসম্মুখে ধূমপান করলে জরিমানা হয়, এমন খবর গণমাধ্যমে আসে না। কেননা, তাদের কাছে এটি চটকদার খবর নয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের আরও ভূমিকা বেশি পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ী সাংবাদিকদের হাতে এ বছরের পুরস্কার তুলে দেন। মোট ১৪টি প্রতিবেদন নির্বাচিত হয়েছিল যাচাই-বাছাইয়ের জন্য। দশজনের জুরি বোর্ড তার মধ্যে থেকে তিনজনকে সেরা প্রতিবেদক হিসেবে নির্বাচিত করেন।

Bootstrap Image Preview