Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জালিয়াতির দায়ে বুবলীকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:২৯ PM আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:২৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নরসিংদীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী উচ্চশিক্ষার সনদ লাভের আশায় জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করেছে। 

তার পক্ষ হয়ে ৮ পরীক্ষায় ৮ জন ছাত্রী প্রক্সি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক প্রক্সি পরীক্ষার্থী ধরা পড়ার এই খবর মুহূর্তেই গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৃটিশ গণমাধ্যমেও এই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এতে দল ও দেশের মান সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জালিয়াাতির অভিযোগে বুবলীকে সংসদের সংরক্ষিত আসনস থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ইতোমধ্যে দলের ভেতরেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

এরই মধ্যে নরসিংদী কলেজ কর্তৃপক্ষ তার সব পরীক্ষা বাতিল করেছে, গঠন করেছে তদন্ত কমিটি।

বুবলীর পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের স্ত্রী।

২০১১ সালের ১ নভেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন লোকমান। বুবলীর দেবর কামরুজ্জামান কামরুল নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি।

আরেক দেবর শামীম নেওয়াজ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুবলী এইচএসসি পাস। উচ্চশিক্ষার সনদ লাভের আশায় তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ কোর্সে ভর্তি হন। এ পর্যন্ত চারটি সেমিস্টারের ১৩টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এর একটিতেও তিনি সশরীরে অংশ নেননি।

পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে বৃহস্পতিবার ধরা পড়েন প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশা। তাকে পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ সময় নিজেকে তামান্না নুসরাত বুবলী দাবি করলেও ছবিযুক্ত প্রবেশপত্র দেখাতে পারেননি এশা।

এমপি বুবলীর পরীক্ষা কিভাবে দিচ্ছেন তা জানতে চাইলেও সঠিক জবাব দিতে পারেননি তিনি। তবে এক পর্যায়ে জানিয়েছেন, বুবলীর হয়ে সর্বশেষ ৮ পরীক্ষায় ৮ জন অংশ নিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, সব সময়ই যেহেতু প্রক্সি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিত, সেহেতু এমপির লোকজন ও ক্যাডার বাহিনী পরীক্ষা কেন্দ্র ও হল পাহারায় থাকতেন। প্রক্সি পরীক্ষার বিষয়টি সবাই জানলেও ভয়ে মুখ খুলতেন না।

নিয়মানুযায়ী, প্রক্সি পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়নি হল কৃর্তপক্ষ। পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কারের পর স্বাভাবিকভাবেই বের হয়ে যান তিনি।

Bootstrap Image Preview