Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইসরায়েলে সরকার গঠনে ব্যর্থ নেতানিয়াহু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০২ AM আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৪৬ AM

bdmorning Image Preview


দীর্ঘ এক দশক যাবত ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের ক্ষমতায় থাকার পর অবশেষে নতুন সরকার গঠনে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত সেপ্টেম্বরে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠনের দিকে হেঁটেছিলেন তিনি। 

যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে সেখানেও ব্যর্থ হতে হয়; যে কারণে এবার তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির বেনি গান্টজ নতুন সরকার গঠনের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। এ জন্য তার হাতে মোট ২৮ দিন সময় রয়েছে।

সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’ জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন ইহুদিবাদী রাষ্ট্র লিকুদ পার্টি জয় পেয়েছিল মোট ৩২টি আসনে। যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইসরায়েলি সেনাপ্রধান বেনি গান্টজের নেতৃত্বাধীন মধ্য বামপন্থি ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি পায় ৩৩ আসন। 

পার্লামেন্টের ১২০ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য অন্তত ৬১ আসন লাভের বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে একটি জোট সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

যদিও সেক্ষেত্রে গান্টজের ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টিকে বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে সরকার গঠনে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন নেতানিয়াহু। যে কারণে সোমবার (২১ অক্টোবর) এই জোট সরকার গঠনের পরিকল্পনা বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জোট সরকার গড়ার জন্য বারংবার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছি।’

এ দিকে নেতানিয়াহুর এই ব্যর্থতা স্বীকারের পরপরই গান্টজকে নতুন জোট গঠনের জন্য মোট ২৮ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিন। মূলত এর পরপরই ৩৩ আসন পাওয়া ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টিকে সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করেন ইসরায়েলি আরব আইনপ্রণেতারা। 

এতকিছুর পরও এখন সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ৬১টি আসন পূরণ করতে আরও মোট ১২টিরও বেশি আসন কম পড়ছে তাদের। সেক্ষেত্রে গান্টজ যদি এবার সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশটিতে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অপর দিকে বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ছিল গত পাঁচ মাসের মধ্যে হওয়া দেশটির দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন। এর আগে গত ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো পক্ষই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া এবং জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটিতে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। যা ইসরায়েলের ইতিহাসে একই বছরে দুইটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম কোনো ঘটনা।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির ক্ষমতায় রয়েছেন নেতানিয়াহু। যে কারণে এবারের নির্বাচনকে তার প্রতি জনগণের গণভোট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। যদিও সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা এবং বিভিন্ন পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত জনপ্রিয়তার দিক থেকে তাকে অনেকটাই নিচে নামিয়ে রেখেছে।

তবে শুরু থেকেই নির্বাচনি ময়দানে নিজের বিরুদ্ধে থাকা সকল দুর্নীতির অভিযোগকে আড়াল করে একের পর এক আক্রমণাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে সরব থেকেছেন তিনি।

Bootstrap Image Preview