Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

জিয়াউর রহমান কখনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না: হানিফ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০৩ PM আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেন, জিয়াউর রহমান কখোনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিন্তানিদের চর। পাকিস্তানিদের এজেন্ট হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

এসব প্রমাণ আছে। দলিল আছে। জিয়াউর রহমানের মতো তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও কখোনই মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তারেক রহমান ছাত্র শিরিরের এক মিটিংয়ে গিয়ে বলেছিলে ছাত্র শিবির ছাত্রদল একই মায়ের পেটের দুই সন্তান।

এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তারা আবার দাবি করে তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে ক্ষমতায় গিয়ে এই বাংলাদেশের উপর আঘাত করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করেছে।

বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের বিনিময়ে এই দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। ক্ষুদা, দারিদ্রমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি জীবন আত্মত্যাগ করেছেন। সেই বাংলাদেশ গড়া না পর্যন্ত আমাদের অবিচল আস্থা জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে। সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেক অনুপ্রবেশকারী সুবিধা নিতে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছে। এরা আসেই শুধু সুবিধা নেয়ার জন্য। শুধু মধু খাওয়ার জন্য।

এই মধু খোরদের এখন থেকেই চিহ্নিত করে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। আমরা বলেছিলাম অন্যদল থেকে যে সমস্ত নেতাকর্মী আমাদের দলে যোগদান করবে যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাদীসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে এই ধরনের ব্যক্তিদের আওয়ামী লীগে কোন ঠাঁই হবে না।

আমাদের সেই নির্দেশনা উপক্ষো করে মাঠ পর্যায়ে অনেক সুবিধাবাদীরা দলে ডুকে পড়েছেন। এখনই সময় এসেছে এবারের কাউন্সিলের মাধ্যমে এই সমস্ত আগাছা, পরগাছাকে ঝেটিয়ে বের করে দিতে হবে। এদেরকে আওয়ামী লীগে ঠাঁই দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগে থাকবে শেখ হাসিনার, বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আছকির মিয়ার সভপিতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন কামরান, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান।

Bootstrap Image Preview