Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নারায়ণগঞ্জে চড় মারার প্রতিশোধ নিতেই শ্যালিকা ও দুই সন্তানকে খুন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৩৬ AM আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৫৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


চড় মারার প্রতিশোধ নিতেই নারায়ণগঞ্জে শ্যালিকা ও তার দুই সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করেছে আব্বাস নামের এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় সময়ই স্ত্রী ও বাকপ্রতিবন্ধী কন্যাকে মারধর করত আব্বাস।   এ ঘটনায় স্ত্রী ইয়াসমিন তার ছোট বোন নাজনীন বেগম ও তার স্বামী সুমনকে নালিশ করে। এক দিন এসব ঘটনা নিয়ে ছোট ভায়রা সুমনের সঙ্গে আব্বাসের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুমন আব্বাসকে একটা চড় মারে।

এতে ক্ষুব্ধ হয় আব্বাস। পরে শ্যালিকা নাজনীন ও ভায়রা সুমনকে শাসিয়ে যান আব্বাস। পরিকল্পনা করেন প্রতিশোধের।

পুলিশ জানায়, ওই ক্ষোভ থেকেই বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্যালিকা নাজনীন ও তার দুই শিশু কন্যা নুসরাত (৮) এবং দুই বছরের খাদিজাকে কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে আব্বাস।

এ সময় সে তার প্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যা সুমাইয়াকেও কুপিয়েছে। সে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি আছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউজ এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারের টেবিলের নিচ থেকে আটক করা হয় আব্বাসকে। সে তার শ্যালিকা ও তার দুই শিশুকন্যাকে সকালে হত্যার পর এখানে এসে লুকিয়ে ছিল।

আব্বাসকে গ্রেপ্তারের পর এদিন সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ আসামিকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মাঠে। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের ওইসব তথ্য জানান।

আটক আব্বাস পটুয়াখালী জেলার সদরের পইক্কা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের বাতেন পাড়া এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করত। এবং নিহত নাজনীন তার স্বামী সুমন ও দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে সিআই খোলা এলাকার ৭ম তলা ভবনের ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন।

সুমন সানারপাড় এলাকার জোনাকি পেট্রল পাম্পের কর্মচারী।আব্বাস পেশায় ওয়েটার। তবে গাড়ির গ্যারেজেও কাজ করে সে। কিন্তু মাদকাসক্ত ছিল বলে জানা গেছে।

Bootstrap Image Preview