ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এক নারীর বাড়িতে তারই সহযোগিতায় আরেক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে সোনাগাজী কলেজ রোডের মাঝিবাড়ির একটি বাসায়। ঘটনার দুই দিন পর গতকাল সকালে সোনাগাজী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ওই নারী।
তিনি একজন বিধবা। অভিযুক্তরা হলেন চর সাহাভীকারী গ্রামের রহিমা আক্তার সুন্দরী (থানার দালাল), চর গণেশ গ্রামের শম্ভু শিকদার ও আফলাছ হোসেন এবং অজ্ঞাত আরও ৩ জন। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।
এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়ায় বন্ধুর খুঁজে বাড়িতে গিয়ে তার ছোট বোনকে এক যুবক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়ার কাহালুতে ধর্ষণ ও বলাৎকারের দুই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
সোনাগাজী : অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, ১৬ সেপ্টেম্বর ভূমি বিরোধের ঘটনায় থানায় মামলা দিতে আসেন এক বিধবা। থানার সামনে অবস্থানরত দালাল রহিমা আক্তার সুন্দরী তাকে মামলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কলেজ রোডের মাঝি বাড়ির একটি বাসায় নিয়ে যান।
সেখানে রহিমার সহযোগিতায় চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে শম্ভু শিকদার ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তারা।
এ সময় তার স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যান রহিমা সুন্দরী। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ জানান, পুলিশ রহিমা সুন্দরী ও শম্ভু শিকদারকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
চকরিয়া : উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ছগিরশাহ কাটা এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে আবদুর রহিম গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে একই এলাকায় তার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে বন্ধুকে খোঁজ করে। ওই রাতে বন্ধুর বাবা-মা বাড়ি ছিলেন না। বাড়িতে ছিল বন্ধুর ছোট বোন নবম শ্রেণির ছাত্রী। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবদুর রহিম ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রাতে বড় ভাই বাড়ি আসার পর বোন তাকে ঘটনা জানায়।
ভাই পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক আহমদকে জানান। পরদিন মেয়েটিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রীর বড় ভাই চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাজারহাট : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গতকাল বুধবার দুপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ধর্ষককে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের রতিরাম পাঠানপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদে রতিরাম পাঠান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার ও আব্দুল কাদেরকে আটক করে।
কাহালু : বগুড়ার কাহালু থানায় গত মঙ্গলবার রাতে বলাৎকার ও ধর্ষণের অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলায় রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বলাৎকার মামলায় গ্রেপ্তার হয় কাহালুর কালাই কর্নিপাড়ার মোজাম্মেল হক মোজামের ছেলে এনামুল। আর ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয় উপজেলার পানিসারা গ্রামের কাউসার আলীর ছেলে আহসান হাবিব।
এনামুল ৫ বছরের এক ছেলেকে গত মঙ্গলবার ফুসলিয়ে ধানক্ষেতে নিয়ে বলাৎকার করে। এদিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাবিব এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ করতে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে।