Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সেই টুনির বাড়িতে সপরিবারে মাশরাফি, একনজর দেখতে ভক্তদের ভিড়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০৮:০৯ PM আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০৮:০৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নিজের গৃহকর্মীর বাড়িতে সপরিবারে বেড়াতে গিয়ে আলোচনায় এসেছেন।

জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে মাশরাফির বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে টুনি দীর্ঘ আট বছর ধরে নিয়োজিত আছেন। এই দীর্ঘ সময়ে সে অনেকটা পরিবারের সদস্যর মতোই হয়ে গেছেন। শুক্রবার নালিতাবাড়ীর যোগানিয়া ইউনিয়নের যোগানিয়া কাচারি মসজিদ সংলগ্ন টুনির পিতা আক্কাছ আলীর বাড়িতে সপরিবারে বেড়াতে আসেন মাশরাফি।

স্থানীয়রা জানান, মিরপুরে মাশরাফির অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন টুনির পিতা আক্কাছ আলী। ওই পরিচয়সূত্রে প্রায় ৮ বছর পূর্বে আক্কাছ আলীর মেয়ে টুনিকে তার বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে নেন মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা। বয়স আর শারীরিক অসুস্থতার কারণে আক্কাছ আলী ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বিদায় নিলেও মাশরাফির বাসাতেই রয়েছে গেছে তার মেয়ে টুনি। দীর্ঘ ৮ বছর সময়কালে স্ত্রী ও ২ সন্তানের সঙ্গে টুনির গড়ে উঠেছে নিবিড় সম্পর্ক।

এবারের কোরবানির ঈদ মাশরাফির বাসাতে কাটলেও ঈদের পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসার ইচ্ছে ছিল টুনির। আর তাই সেই ইচ্ছে পূরণে কেবল টুনিকে পাঠানো নয়, নিজের পরিবারের সদস্য মনে করে তার সঙ্গে গোটা পরিবারের লোকজন নিয়েই টুনির পিতার বাড়ি নিভৃত পল্লিতে হঠাৎ করেই চলে আসেন গৃহকর্তা মাশরাফি।

শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে হঠাৎ দু’টি গাড়ি নিয়ে আক্কাছ আলীর গৃহে পৌঁছান টুনিসহ মাশরাফির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাদের বেড়াতে আসার খবর এলাকাবাসী না জানলেও টুনির পরিবার অবহিত ছিল। তাই মাশরাফিদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থাটাও করা ছিল। কিন্তু সেই বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে ঘুরে-ফিরে বাড়ির চারপাশের প্রকৃতিকে এক পলক দেখে নাশতা পর্ব শুরু করতেই হুলুস্থুল শুরু হয়ে যায় এলাকায়।

মাশরাফি এসেছেন শুনে ওই বাড়িতে শুরু হয়ে যায় মানুষের ভিড়। আস্তে আস্তে খবরটি এলাকাময় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই বাড়তে থাকে ভিড়। খবর পেয়ে মাশরাফিকে শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে যান নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবুসহ বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিও।

মাশরাফির ব্যবহারে মুগ্ধতা প্রকাশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, টুনির বাবা আক্কাছ আলী ক্রিকেট তারকা মাশরাফির বাসার নিরাপত্তা কর্মী থেকে বিদায় নিলেও তার পরিবারের প্রতি মাশরাফির রয়েছে নানান সহযোগিতা। এর মধ্যে আক্কাছ আলীকে যেমন তিনি দিয়েছেন চিকিৎসা সহায়তা, তেমনি তাদের মাথা গোঁজার জন্য গ্রামের বাড়িতে একটি হাফ বিল্ডিং টিনশেড ঘরসহ নানা সহযোগিতাও দিয়েছেন। সর্বোপরি টুনির ভবিষ্যৎ দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মাশরাফি। এতে তার পরিবারসহ এলাকাবাসী দারুণ খুশি।

মাশরাফি সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় কাটিয়ে ফিরে যান।

Bootstrap Image Preview