Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খাবার তুলে দেয়া সেই উপকারীকেই হত্যা করলো রোহিঙ্গারা, লাশ আনতেও বাধা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০৫:২৭ PM আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০৫:২৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দুই বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে প্রাণ বাঁচাতে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য আসে, তখন অন্যান্য হাজারো মানবতাকামী মানুষের মতো মোহাম্মদ ওমর ফারুক (৩০) নামের এক যুবকও এগিয়ে এসেছিলেন। নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মুখে খাবার তুলে দিতে প্রাণান্তকর কষ্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু, আজ দুই বছর পর এসে সেই রোহিঙ্গারাই তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় তাকে গুলি করে হত্যা করে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী।

নিহত যুবক ওই এলাকার মোহাম্মদ মোনাফ কোম্পানির ছেলে এবং হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ ও জাদিমুরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে নিহতের পরিবার লাশ আনতে গেলে তাতেও বাধা দেয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন রাতে ওমর ফারুককে নিজের বাড়ির সামনে থেকে ফিল্ম স্টাইলে তুলে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার সেলিমের নেতৃত্বাধীন একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এক পর্যায়ে তাকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে তারা। এদিকে ওমর ফারুকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনেরা সেখানে যান। তবে সন্ত্রাসীরা নিহতের স্বজনদের তার মরদেহ আনতে বাধা দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই আমির হামজা বলেন, "রাখাইনে রোহিঙ্গাদের দমন নিপীড়ন শুরু হলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে অন্যান্যদের মত আমার পরিবারও দাঁড়িয়েছিল। এসব রোহিঙ্গাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে আমার ভাই। দিন রাতদিন পরিশ্রম করে তাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে আমার ভাই। আজ সেই রোহিঙ্গারাই আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এমনকি তারা আমার ভাইয়ের লাশটা পর্যন্ত নিয়ে আসতে দিতে চায়নি।"

টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম এস দোহা বলেন, "খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।"

Bootstrap Image Preview