Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আবারও ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৯, ০৮:০০ PM আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৯, ০৮:০০ PM

bdmorning Image Preview


কুড়িগ্রামে আবারও ছেলেধরা গুজবে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে গণপিটুনি অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ত্রিমোহনী বাজার জামে মসজিদের পেছনে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যাক্তির বাসায় যান ওই নারী। এ সময় ওই বাসার ভাড়াটিয়া তারা মিয়ার শিশুকন্যার হাত ধরে টান দেন তিনি। শিশুটির চিৎকারে বাসার লোকজন বেরিয়ে এসে ওই নারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। পরে ত্রিমোহনী বাজারের একটি দোকানের খুঁটিতে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এ সময় ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ছেলেধরা গুজবে আটক করা হয়েছে মর্মে পুলিশের সহায়তা চাইলে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

কুড়িগ্রাম সদর থানায় গিয়ে দেখা গেছে, ডিউটি অফিসারের রুমের মেঝেতে কম্বল গায়ে শুয়ে বিলাপ করছেন ওই নারী। তাকে পেটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। কয়েকবার জিজ্ঞাসার পর তিনি নিজেকে রেজিয়া পারভীন নামে পরিচয় দেন। বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে কখনও নাটোরের সিংড়া আবার কখনও গোবিন্দনগর বলছিলেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার এএসআই মো. সোহেল রানা জানান, ৯৯৯-এর মাধ্যমে আমাদের ফোন করে জানানো হয় যে, ত্রিমোহনী এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। পরে ফোর্স পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পরিচয় পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহফুজার রহমান বলেন, ‘ওই নারীকে দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হচ্ছে। তাকে ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রাখা হয়েছিল। তবে তাকে বেঁধে পেটানোর কোনো অভিযোগ পাইনি।’

উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই ঢাকার উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করতে গিয়ে অভিভাবকদের গণপিটুনির শিকার হন মানসিক রোগে আক্রান্ত তাসলিমা বেগম রেনু। চার বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ি ফিরেছেন লাশ হয়ে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হয়ে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

Bootstrap Image Preview