পুলিশের কাছে নিঃসংকোচে বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে মেয়ে। স্বীকারোক্তিতে সে বলেছে, নিজের ইচ্ছেমতো বাঁচতেই বাবাকে খুন করেছি আমি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ভারতের বেঙ্গালুরুর রাজাজি নগরের।
ওই মেয়ে আরো বলেছে, পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মেলামেশা করুক তা চাননি বাবা। আর এ নিয়ে আমাকে মারধরও করতেন বাবা। তবে বিষয়টি সহজভাবে মানতে পারিনি আমি। ইচ্ছেমতো চলাফেরায় বাবা যেন কোনো বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য বয়ফ্রেন্ডকে সঙ্গে নিয়ে বাবাকে খুন করেছি আমি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের খবরে বলা হয়েছে, মেয়েটি প্রবীণ নামে এক কলেজছাত্রের সঙ্গে মেলামেশা করতো। ১৯ বছরের ওই যুবক স্কুলে থাকতেই ওই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি সেকথা জানতে পেরে মেয়েকে বকাঝকা করেন তার বাবা। মেয়ে কথা না শোনায় তাকে বেল্ট দিয়েও নাকি মারধর করেন তিনি। মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেন।
এরপর প্রবীণই মেয়েটিকে লুকিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়। সেই ফোনেই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বাবাকে খুনের পরিকল্পনা করে ওই ১৫ বছরের মেয়ে।
গত সপ্তাহে মেয়েটির মা পুদুচেরি যান। সে সময় বাবার দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে অচেতন করে দেয় মেয়ে। তারপর প্রবীণকে নিজের বাড়িতে ডেকে এনে ছুরি মেরে খুন করে বাবার গালে কয়েকটা থাপ্পড়ও মারে সে। পরে দুজনে মিলে মরদেহ পুড়িয়ে দেয়।