নিজের পারফরমেন্সে হতাশ তামিম নিজেও। তবে ফর্ম ফিরে পেতে চেষ্টার ত্রুটি করছেন না তামিম। কিন্তু দুভার্গ্য পিছু ছাড়ছে না তামিমের। তাই ব্যর্থতাকে ভুলে নতুনভাবে শুরু করার জন্য তামিমকে পরামর্শ দিলেন সাকিব। তিনি বললেন, ‘তামিমের উচিত বিশ্রাম নেয়া এবং ভালোভাবে ফিরে আসা।’
তামিমের অফ-ফর্ম নিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন একজন ক্রিকেটারের খারাপ সময় আসতেই পারে। এখন আমার মনে হয় যে ওর জন্য যেটা দরকার, খুব ভালো একটা বিশ্রাম নেয়া। নিজেকে রিকভার করা ও ফ্রেশ হওয়া এবং আগের চেয়ে ভালোভাবে ফিরে আসা। আমি নিশ্চিত তামিম এটাই করবে।’
এসময় নিজের ক্রিকেটে ফেরার ব্যাপারে কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে। আশা করছি, ফিট থাকলে খেলবো।’
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম অস্ত্র ছিলেন তামিম। কিন্তু বিশ্বকাপে পাওয়া গেল না তামিমকে। মাত্র ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৯ দশমিক ৩৭ গড়ে ৮ ইনিংসে ২৩৫ রান করেন তিনি। বিশ্বকাপের পর শ্রীলংকা সিরিজে আরও বেশি ব্যর্থ তামিম। তিন ইনিংসে মাত্র ২১ রান তার ব্যাট থেকে। এতে তামিম নিজেও হতাশ।
শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ শেষে তামিম বলেন, ‘বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না আমার। তবে এমন নয় যে, আমি চেষ্টা করিনি। আমি চেষ্টা করেছি ভালো করার জন্য, কিন্তু সেটা যথেষ্ঠ ছিল না। দেশে ফিরে সময় নিতে চাই। এরপর নিজের ভুল ও দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই এবং আবারও দ্রুত ফিরে আসতে চাই।’
নিজের ভুল শুধরানোর জন্য সাবেক কোচ জেমি সিডন্সের শরণাপন্ন হন তামিম। আর শ্রীলংকার মাটিতে বাংলাদেশের আরেক সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সাথে পরামর্শও করেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েই দেশে ফিরতে হলো তামিমকে।