দ্বাদশ বিশ্বকাপ শেষ হলেও রেখে গিয়েছে বিতর্ক। ফাইনাল ম্যাচের সেই ছয় রানের বিতর্কের ঝড় বইছে এখনো।শেষ ওভারের ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান৷ ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দু’বলে কোনও রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস৷ তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন তিনি৷
চতুর্থ বলে মার্টিন গাপটিলের ওভার থ্রো থেকে ৪ এবং দৌড়ে ২ সহ মোট ৬ রান পায় ইংল্যান্ড। এ সিদ্ধান্ত ছিল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ পরিচালনা করা অন-ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও মারাইস এরাসমুসের। এতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এর ফলে মূল ম্যাচ টাই হওয়ায় গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও টাই হওয়ায় বাউন্ডারি হিসাবে জয়ী হয় ইংলিশরা।
ক্রিকেট আইনের ১৯ এর ৮ ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে তা প্রমাণও করেছেন তিনি। ওভারথ্রো অর উইলফুল অ্যাক্ট অব ফিল্ডার- শিরোনামে উল্লেখ আছে, বলটি কুড়িয়ে উইকেটের উদ্দেশ্যে ছোড়ার মুহূর্তে যদি ব্যাটসম্যান দু’জন পরস্পরকে অতিক্রম না করে তবে ওই রানটি যুক্ত হবে না।
পঞ্চাশতম ওভারের তৃতীয় বলে গাপটিলের বল ছোড়ার মুহূর্তে স্টোকস আর রশিদ পরস্পরকে অতিক্রম করেননি। সুতরাং নিয়ম অনুযায়ী, ইংলিশদের স্কোরবোর্ডে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল পাঁচ রান।
এই ছয় রান নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে চলছে চরম বিতর্ক। এই বিতর্কের মাঝেও মুখ বুঝে ছিলো আইসিসি।
অবশেষে ‘বিতর্কিত’ ওই ওভার থ্রোর ব্যাখ্যা দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।আইসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মাঠে দায়িত্বরত আম্পায়াররা নিয়ম সম্পর্কে নিজেদের ধারণা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পলিসির কারণে অন-ফিল্ড আম্পায়াদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা মন্তব্য করি না। অর্থাৎ দায় এড়িয়ে গেল ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। বুঝিয়ে দিল,আম্পায়াররা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন!