Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নারায়ণগঞ্জে থু থু ফেলায় ৫০ গাড়ি ভাঙচুর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯, ১০:২৭ PM আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯, ১০:২৭ PM

bdmorning Image Preview


নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের অনন্ত হুয়াজিং গার্মেন্টের কর্মকর্তা (এইচআর-অ্যাডমিন) মামুনের শরীরে অসাবধানতাবশত থুথু ফেলায় পোশাক শ্রমিকদের যাতায়াতে ব্যবহৃত ৪৯টি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আদমজী ইপিজেডে এ ঘটনা ঘটে।

আদমজী ইপিজেডের শ্রমিকরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে থাকা মিনি বাসগুলোর পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় গাড়িতে থাকা এক পোশাক শ্রমিক অসাবধানতাবশত থুথু ফেললে অনন্ত হুয়াজিং গার্মেন্টের কর্মকর্তা মামুনের শরীরে পড়ে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় এইচআর মামুন ও স্টোর কিপার নাসির শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুরে উদ্বুদ্ধ করেন। এ সময় মামুন ও নাসিরের নেতৃত্বে প্রায় দেড় শতাধিক পোশাক শ্রমিক ইট ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তার পাশে পার্কিং করা ৪৯টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলার সময় গাড়িতে থাকা প্রায় ১০ জন শ্রমিক আহত হন।

খবর পেয়ে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে সাইফুল, সেলিম, নূরুল, রুবেল, গাড়ির চালক সানি ও মানিক মিয়াসহ ১০ শ্রমিক আহত হন।

আহত শ্রমিকরা জানান, হামলার সময় আমরা আদমজী ইপিজেডের সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট সালটেন্ট মেজর (অব.) আবু তালেব শেখ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা সিরাজসহ আদমজী ইপিজেডের নিরাপত্তা কর্মীদের জানালেও তারা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের তাণ্ডব থামাননি। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দীর্ঘক্ষণ তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন।

আদমজী ইপিজেডের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিষ্ক্রিয়তায় শ্রমিকরা একের পর এক অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করলেও তাদের তাণ্ডবকে থামাননি নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে আদমজী ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান মালিক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বেপজার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সার্বিক) মীর শাহিনশাহ পারভেজ বলেন, মঙ্গলবার এক শ্রমিক থুথু ফেলানোর কারণে মামুন নামে এক এইচআর ও স্টোর কিপার নাসিরের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাড়িগুলো ভাঙচুর করেন। শ্রমিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ও র‌্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর মামুন ও নাসিরসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।

Bootstrap Image Preview