২০১৫ সালে বাংলাদেশর উন্থানের নেপথ্যের কারিগরদের মধ্যে একজন ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অভিষিক্ত ওয়ানডেতেই ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। ভারতের বিপক্ষে সেই সিরিজে ৩ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট।
তবে ইনজুরিতে মাঠের বাইরে সময় কাটিয়ে দলে ফেরার পর মুস্তাফিজের সেই ম্যান উইনিং পারফরম্যান্স আর দেখা যায়নি। কখনো কখনো বল হাতে উজ্জল হলেও আবারো হারিয়ে গেছেন অন্ধকারে। শুরুতে এত ভালো করেছিলেন যে এখন একটু খারাপ করলেই ‘মোস্তাফিজের আগের ধার নেই’ বলে রব ওঠে।
আসন্ন বিশ্বকাপে বোলিং ডিপার্টমেন্টে বাংলাদেশের সেরা অস্ত্রের মধ্যে একজন মুস্তাফিজ। তবে তবে নিজের হারানো ধার ধারবাহিত ভাবে ফের ফিরে পাওয়ার লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি।
মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স যদি এভাবে ওঠা-নামা করে, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ নেতৃত্ব দেবেন কী করে? ভারতীয় একটি ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের সাবেক কোচ অনিল কুম্বলেও বলছেন, যদি পুরোনো মোস্তাফিজকে দেখা যায়, বাংলাদেশ হয়ে উঠবে বিপজ্জনক এক দল, ‘মোস্তাফিজ শুরুতে ১৪০ কিলোমিটারেই সুইং করাতে পারত। জাদুকরি স্লোয়ার বল দিতে পারত। অনেক ব্যাটসম্যান যেটা পড়তে পারত না। যে কারণেই হোক ওর গতি কমে গেছে। মাঝে চোটে পড়েছিল। এবার বিশ্বকাপে সে শুরুটা কেমন করে সেটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। চোট নিয়ে একটু চিন্তা আছে। এটা ভালোই চ্যালেঞ্জিং হবে ওর জন্য। তবে একাদশে বাঁহাতি পেসার পাওয়াটা সব সময়ই একটা বাড়তি সুবিধা। মোস্তাফিজের সামর্থ্য আছে। সে যদি নিজের বোলিংটা করতে পারে, পুরোনো মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনতে পারে, বাংলাদেশ ভীষণ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে যেকোনো দলের জন্যই।’