Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সৈকত তুই পারবি: মাশরাফি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯, ০১:৩৭ PM আপডেট: ১৮ মে ২০১৯, ০১:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক ও সৌম্য সরকার। শুরুর পথটা মসৃণ করেছিলেন সৌম্য আর সেই দেখানো পথে বাংলাদেশ দলকে কক্ষপথে রেখেছেন মোসাদ্দেক। এদিন তিনি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড।

এদিন মোসাদ্দেক যখন ক্রিজে ব্যাট করতে আসেন তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫০ বল থেকে ৬৭ রান। লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। তিনি ও ক্রিজে থাকা মাহমুমুল্লাহ মাত্র ৪১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানের জুটি গড়লেন। যা বাংলাদেশকে ৫ উইকেট ও সাত বল হাতে রেখে ঐতিহাসিত জয়টা নিশ্চিত করে। 

৭০ রানের জুটিতে বড় অবদান ছিল মোসাদ্দেকের। তিনি ২০ বল থেকে রেকর্ড হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ২৪ বল থেকে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। তার ইনিংটি ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল। এমন ইনিংস খেলার পেছনে মোসাদ্দেকের টনিক হিসেবে কাজ করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ম্যাচ সেরা মোসাদ্দেক।

মোসাদ্দেক বলেন, ‘উইকেটে যাওয়ার আগে মাশরাফি ভাই বলছিলেন, সৈকত তুই পারবি। যা ইচ্ছা খেল, শেষ করে আয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ওই সময়ই নয়, আগের ম্যাচে বোলিংয়ের সময়, এমনকি এবার ঢাকা লিগের পুরো সময়, মাশরাফি ভাই আমাকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। দলের বাইরে ছিলাম তখন। উনি বলেছেন যে, কি কি করলে দলে ফিরতে পারি। অধিনায়ক এমন ভরসা করলে আত্মবিশ্বাস সবসময়ই ভালো থাকে।’

মোসাদ্দেক বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে যাওয়ার পর আমার একটি ব্যাপারই কাজ করছিল যে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলব। এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে খুব সহজ ছিল না। আমি চেষ্টা করেছি বল বুঝে খেলতে। আর কিছু না।’

শুধু তখন বা আগেই নয়, অনুপ্রেরণার পালা চলেছে ম্যাচ জুড়েই। বিশেষ করে ডাকওয়ার্থ-লুইসে যখন বাংলাদেশের লক্ষ্য নির্ধারিত হলো ২৪ ওভারে ২১০, সিনিয়ররা সবাই ড্রেসিং রুমে জুগিয়েছেন সাহস, জানালেন মোসাদ্দেক।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ফিল্ডিং করে ফিরেছি, তখন মাশরাফি ভাই থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই, তামিম ভাই, রিয়াদ ভাই, সবাই একটা কথা বলছিলেন যে, আমাদের যে ব্যাটিং সামর্থ্য আছে এবং পুরো টুর্নামেন্টে যেমন খেলেছি, আমাদের পক্ষে এই রান তাড়া করা সম্ভব।’

Bootstrap Image Preview