২০০৯ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের উপর জঙ্গি হামলায় আহত হয়েছিলের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার।এরপর থেকেই যে কোনো সফরে স্গাতিক দেশ সফরকারী দেশের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেয়। কিন্তু জানলে অবাক হবেন আজ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূর জাম্বারে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় বাংলাদেশর ক্রিকেটারদের সঙ্গে নূন্যতম একজন নিরাপত্তারক্ষীও ছিল না।
আজ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূর জাম্বারে জুম্মার নামাজ আদায় করার সময় বন্দকধারীর হামলায় একাধিক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। একই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তামিম, মুশফিক, মিরাজ তাইজুলরা। তবে নির্ধারীত সময়ের ১০ মিনিট দেরিতে পৌঁছানোর ভয়াবহ এ সন্ত্রসী হামলার হাত থেকে কোনো রকমে রক্ষা পেয়েছেন ক্রিকেটারা।
এদিকে ক্রিকেটাররা নিরাপদে হোটেলে ফিরলেও বাংলাদেশর ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে কিউইদের গাফিলতির বিষয়টা এড়ানো যাচ্ছে না। কারণ তামিমদের সমজিদে যাওয়ার সময় কোনো নিরাপত্তাকমী তো দূরে থাকা টিমের লিঁয়াজো অফিসার পর্যন্ত ছিল না তামিম-মুশফিকদের সঙ্গে। এমন নিরপত্তাহীন অবস্থায় ক্রাইস্টচার্চে কঠিন বিপদের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যে কোনো নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না এবং তাদের ওই সময়কার পরিস্থিতি হুবহু তুলে ধরেছেন, দলের সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চে থাকা, প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র। যেটা আবার নিজের স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। উৎপল শুভ্র যেটা লিখেছেন, সেটা হুবহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের সামনে। ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তাঁরা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ‘ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না।’ ক্রিকেটাররা তখন বাসেই অবরুদ্ধ হয়ে আটকা পড়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। কারণ পুলিশ ততক্ষণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বাসে বসেই তাঁরা দেখতে পান, মসজিদের সামনে অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অনেকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসছেন মসজিদ থেকে। যা দেখে আতঙ্কে অস্থির হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। কারণ বাসে কোনো নিরাপত্তাকর্মী দূরে থাক, স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিসারও ছিলেন না।”