Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সেই ওয়াহেদ ম্যানশনে সব পুড়ে গেলেও অক্ষত কোরআন-হাদিসের বই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:০৮ PM আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:০৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে ওয়াহেদ ম্যানশনের ভেতরে থাকা সব আসবাব পুড়ে কয়লা হলেও অক্ষত আছে ভবনের দোতলার একটি ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে থাকা পবিত্র কোরআন শরিফ ও হাদিসের গ্রন্থসহ অন্য বইগুলো।

ওয়াহেদ ম্যানশনে দেখা যায়, ভবনের প্রতিটি ফ্লোরের রুমগুলো আগুনে পুড়ে কয়লা হলেও দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে রাখা অনেকগুলো কোরআন শরিফ ও হাদিসের বইসহ সব বই আছে পুরোপুরি অক্ষত! বিস্ময়ের ব্যাপার হলো যে ভবনের ভেতর-বাইরে সব পুড়ে কয়লা, এমনকি আশপাশের ভবনও সেখানে খোদ ভবনের ভেতরেই অক্ষত আছে পবিত্র কোরআন-হাদিসের বইগুলো! সেখানে থাকা একটি বইও আগুন স্পর্শ করেনি

কোরআন ও হাদিসের বই সাজিয়ে রাখা কক্ষটিতে থাকা কয়েকটি চেয়ার এবং ছোট টেবিল পুড়ে কয়লা হয়ে আছে, কিন্তু বুক সেলফ ও বইগুলো আছে ঠিক আগের মতো সাজানো গুছানো! দেখে মনে হবে এখানে যেন কোনো কিছুই হয়নি।

এছাড়া ভবনটির নিচতলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ফ্লোরই আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু নিচতলার একটি গোডাউনে এখনো প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ অক্ষত অবস্থায় মজুদ রয়ে গেছে। ভবনের সব ফ্লোরে আগুনের ভয়াবহতার চিহ্ন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা ভবনটি! সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গেলে দেখা যায়, আগুনে পোড়া জিনিসপত্রগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রান্নাঘরে চুলার উপরে থাকা হাঁড়ি, কড়াই সব পুড়ে কয়লা হয়ে আছে, খাবার ঘরে টেবিলে রাখা জগ, গ্লাস, প্লেট সবই পুড়ে গেছে।

এছাড়াও অবাক করার বিষয় হলো আগুনে ওয়াহেদ ম্যানশনসহ পাঁচটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অপার বিস্ময়ে অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদ। আগুনে মসজিদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। পাশে রাজমনি হোটেলের সামনের শাটার, হাড়িপাতিল ও আসবাবপত্রও পুড়ে গেলেও পুরোপুরি অক্ষত ছিল হোটেলে প্রবেশদ্বারের ওপরে লেখা কালেমা তৈয়্যবা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)’।

কোরআন-হাদিস অক্ষত থাকার বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ভাই, ভবনের পাশে মসজিদও তো কিছু হয়নি! পুরো একটা ভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেলো অথচ সেখানে থাকা কোরআন-হাদিসের কিছুই হলো না, এটা আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া আর কিছু নয়।’

‘আগুনের ঘটনার পর বাঁচার জন্য অনেকে আশপাশের ভবন ও দোকানে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কেউ বেঁচে নেই। তাহলে আল্লাহর রহমত ছাড়া আগুনে দাউদাউ করে জ্বলা ভবনে কী করে এতগুলো কোরআন-হাদিসের বই অক্ষত থাকে? এটা আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি!’

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে পাচঁতলা ভবনে আগুন লাগে। পরে আগুন আশপাশের আরো তিনটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট প্রায় ১৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষমহয়। এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় অর্ধশত জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview