প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে মালয়েশিয়ান তরুণীকে ছুরিকাঘাতের অপরাধে বাংলাদেশী সাইদুল ইসলামকে ২০ বছরের জেল দিয়েছেন দেশটির আদালত। ২২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) মালয়েশিয়ার আদালতে হাজির করা হলে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হলে এই আদেশ দেন মালয়েশিয়ার আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী কুয়ালালামপুরের পার্শ্ববর্তী কোতা দামানসারার একটি শপিংমলের কাছে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে মালয়েশিয়ান তরুণীকে ধারালো ছুরি দিয়ে মুখ কেটে দেয় যুবক।
আহত নারীর বয়স ২৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে সাইদুল প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন, কিন্তু তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় বারবার ওই নারীর সঙ্গে অসুলভ আচরণ করতেন যুবক।
এদিকে, পেতালিংজায়া জেলা পুলিশ প্রধান সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জনি চে দিন জানান, পুলিশকে ঘটনাটি জানানোর পরপরই এই ঘটনার শিকার হন ওই নারী। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মালায় মেডিকেল সেন্টার (পিপিএমএম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে, ঠোঁটের ওপরে প্রায় পাঁচ ইঞ্চির মতো কেটে গেছে।
আহত নারীর অভিযোগে আটক করা হয় ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি সাইদুলকে। এ ঘটনার পর থেকে মালয়েশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশ বিরোধী ব্যাপক ঝড় উঠেছে। বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলসহ নতুন করে যেন বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ না দেয়া হয় তার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে দেশটির নাগরিকরা।
সাইদুল ইসলামকে সাত দিনের রিমান্ড এবং অস্ত্র ব্যবহার করে ওই নারীকে গুরুতর আহত করায় দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারার অধীনে মামলাটি তদন্ত শেষে শুক্রবার আদালতে নেয়া হলে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ড আদালত।