জুয়াড়িদের টাকা কামানোর বড় পথ ক্রিকেট লীগ। আর সেটা যদি টি-টোয়েন্টি হয় তাহলে তো কথাই নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে জুয়াড়িদের মেলা দেখা যায়। তার বিকল্প নয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও। তেমনি বিপিএল ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছে দেশি-বিদেশি জুয়াড়িরা। অবশ্য জুয়াড়িদের কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তৎপর বিপিএল কর্তৃপক্ষও। তাই খেলা চলাকালীন গ্যালারিতে নজরদারি করার জন্য থাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
টুর্নামেন্টের প্রথম দুই দিনেই ১৫ জুয়াড়িকে আটক করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে আরো ৫ জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। পাঁচ জনই ভারতীয় নাগরিক।
ক্রিকবাজ জানিয়েছে, এর মধ্যে তিনজন ভারতের হারিয়ানা রাজ্যের নাগরিক। এরা হলেন—দীপক, সঞ্জিব কুমার ও সুনিল কুমার।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের জুয়া নিয়ে নির্দিষ্ট কোন আইন নেই। তবে তাদের প্রত্যেককে ৪ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি জব্দ করা হয়েছে তাদের মোবাইল ফোন। এবং তাদের মাঠে আসার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
জুয়াড়িদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান।
জুয়াড়িদের শাস্তির বিষয়ে বলেছেন, ‘আমরা আজ পাঁচজনকে আটক করেছি, এর মধ্যে পাঁচজনই বিদেশি নাগরিক। কাল আরেক ভারতীয় জুয়াড়িকে আটক করেছিলাম। প্রত্যেকের আর্থিক দণ্ডের পাশাপাশি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। তাদের মাঠে আসার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’
ইমরুল আরও জানালেন, জুয়াড়িদের পাশাপাশি আরও দুজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। টাকা নিয়ে অবৈধভাবে স্টেডিয়ামে দর্শক ঢোকানোয় ১১ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয় সজীব আহমেদ (২১) নামে এক বাংলাদেশিকে। অন্যজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইমরুল বললেন, ‘ওই দর্শক (সজীব) কারাদণ্ডের শাস্তি এড়াতে পারতেন। কিন্তু তিনি বিসিবির নিরাপত্তাকর্মীদের উল্টো হুমকি-ধমকি দিচ্ছিলেন।’