Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

“আঙুলটা আর কখনোই শতভাগ ঠিক হবে না”

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০১ PM আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০২ PM

bdmorning Image Preview


ইনফেকশন আক্রান্ত আঙুল নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে দু:সংবাদটা দিয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান।শুক্রবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাংবাদিকেদের জানান আর কখনোই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না সাকিব আল হাসানের আঙুল। তবে ক্রিকেট খেলার জন্য উপযোগী করে দেবে চিকিৎসকরা। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, 'ওই আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ঠিক হবে না। কারণ, এটা হচ্ছে হাড্ডিটা যেটা নরম হাড্ডি। এটা আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নাই। অতএব পুরোপুরি ঠিক হবে না কিন্তু সার্জারিটা হবে এমন যে, ওরা এমন একটা সিচুয়েশনে এনে দিবে যেখান থেকে আমি ব্যাট-ট্যাড ভালোভাবে ধরতে পারবো, ক্রিকেট খেলাটা চালাতে পারবো।'

এদিকে চলতি বছর আর মাঠে নামা হচ্ছে না সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা হতে পারে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে। তবে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিপিএলের শুরু থেকেই খেলার ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা ডাইনামাইটস অধিনায়ক।

'এখন যেটা আছে, তিন মাসের যে টাইমফ্রেম তাকে এক সপ্তাহর বেশি হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত তো আমি আশাবাদী যে প্রথম থেকেই খেলতে পারবো। এখন অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি, ওরা যদি বেটার কোন ট্রিটমেন্ট দিতে পারে তাহলে আরো তাড়াতাড়ি হয়তো সারার সম্ভাবনা থাকবে। এখন মূল যেটা হয়েছে, ইনফেকশনটা তো দূর করতে হবে। ওটা চলে গেলেই আসলে বুঝা যাবে কত সময় লাগবে। আর মেইন সার্জারি যেটা করার কথা ওটা হলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ। নরমালি ছয় সপ্তাহ লাগে। দুই সপ্তাহ বেশি ধরা হয়। যদি ছয় সপ্তাহ হয় তাহলে বিপিএলের বেশ আগেই ফিট হয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।'

'যদি শুধু সার্জারিটা করা লাগতো তাহলে আমার আসলে খুব একটা খারাপ লগতো না। যেহেতু এটা অনেক আগের ইনজুরি, আমি জানি যে আমার সার্জারি করা লাগবে। মানসিকভাবে আমি প্রস্তুত ছিলাম। আসলে ইনফেকশান আমার সবথেকে বড় টেনশনের জায়গাটা। কারণ, ওটা যতক্ষণ পর্যন্ত না জিরো পার্সেন্টে আসবে, কোন সার্জন হাত দিবে না। কারণ, ওটা হাত দিলে পরে বোনে চলে যাবে আর হাড়ে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট। এখন আমার মেইন পয়েন্ট হচ্ছে কিভাবে ইনফেকশনটা সারানো যায়। অস্ট্রেলিয়ায় আমি ইনফেকশনের ট্রিটমেন্টের জন্যই যাচ্ছি, আর কোন ট্রিটমেন্টের জন্য যাচ্ছি না।'

এ বছরটা আর খেলতে পারবেন। এর প্রভাবটা তো বিশাল। কিন্তু সাকিব সেটা মানতে নারাজ। বলেন, শুধু সাকিব-তামিম কেন? আরো কয়েকজন না খেললেও কোনো সমস্যা হবে না। জুনিয়রদের উপর শতভাগ আস্থা রাখছেন তিনি।

সাকিব আরো বলেন, আসলে আমাদের লাইফটা প্রতিদিন মাঠে যাওয়া প্র্যাকটিস করা বা কিছু না কিছু করা। সেখানে সারাদিন ঘরে বসা থাকাটা বিরক্তিকর। আমরা ভাবি, আমাদের ছাড়া টিম চলবে না। এই যে একটা সুযোগ আসল, তারা কিন্তু ঠিকই ব্যাক করেছে। আমাদের আরো কিছু প্লেয়ার সামনের কয়েকটা সিরিজে না থাকলেও কোন সমস্যা হবে না।

Bootstrap Image Preview