ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের নতুন করে তদন্ত শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন তাঁর স্পনসররা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এক ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা এ ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়েছে, ঘটনার গতিপ্রকৃতির উপর তারা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছে। এই সংস্থার সঙ্গে রোনালদোর প্রায় ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার চুক্তি। পর্তুগিজ তারকার সঙ্গে আরও একটি বহুজাতিক সংস্থার চুক্তি রয়েছে। তারাও বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ দিকে রোনালদো-কাণ্ডের জেরে জুভেন্টাসের শেয়ারও শুক্রবার ১৮ শতাংশ পড়ে গিয়েছে বলে খবর।
অভিযোগ, লাস ভেগাসের হোটেলে রোনালদো ২০০৯ সালে ক্যাথরিন মায়োরগা নামে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেন। সেই সময় ক্যাথরিন সেখানকার একটি নাইটক্লাবে কাজ করতেন। পরে সে সব ছেড়ে তিনি স্কুল শিক্ষিকার পেশা গ্রহণ করেন। সম্প্রতি ওই মহিলা শিক্ষিকার চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন। এক নামী জার্মান পত্রিকায় লেখা হয়েছে, ২০১০ সালে বহু টাকার বিনিময়ে রোনালদো তাঁর কাছ থেকে প্রকাশ্যে মুখ না খোলার প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। তখন লাস ভেগাস পুলিশও ঘটনার তদন্ত বন্ধ করে দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল, অভিযোগকারিণী নির্দিষ্ট করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি বা কোনও সাক্ষীর নামও বলেননি। তাই কোনও তদন্ত করা যায়নি। কিন্তু জার্মান পত্রিকাকে সম্প্রতি ক্যাথরিন বলেছেন, পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সে সময় তিনি মুখ বন্ধ করেছিলেন। সঙ্গে তাঁর এটাও মনে হয়েছিল যে, রোনালদোর মতো মহাতারকার সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে উঠবেন না। কিন্তু সম্প্রতি ‘মি-টু’ (যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ) আন্দোলনে প্রভাবিত হয়ে হয়ে তিনি নাকি নতুন করে অভিযোগ জানানোর মানসিক শক্তি অর্জন করেছেন। এ বার সরাসরি রোনালদোর নামও করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লাস ভেগাস পুলিশও তদন্তের কাজ শুরু করেছে।
রোনালদোর নতুন ক্লাব ইতালির জুভেন্তাস কিন্তু এই ঘটনায় পর্তুগিজ তারকার পাশে দাঁড়াচ্ছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বুঝিয়েছেন তিনি কতটা পেশাদার এবং নিজের কাজের প্রতি গভীর ভাবে নিবেদিতপ্রাণ। জুভেন্টাসের সবাই যার প্রশংসা করছে। ওঁর যে কোনও সংকটে ক্লাব পাশে থাকবে।’’ প্রসঙ্গত রোনালদো নিজে এই অভিযোগ ওঠার পরে টুইট করে পুরো ব্যাপারটাই ‘মিথ্যে’ বলে দাবি করেছিলেন।