এশিয়া কাপে আবারো তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের। এশিয়া কাপ অনুর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে েভারতের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে বিদায় নিলো বাংলাদেশ। ভারতের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭০ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
ভারতের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগার যুবাদের| দলীয় ৭ রানের মাথায় তারা প্রথম উইকেট হারায়। এ সময় সজীব হোসেন ৭ বল থেকে ২ রান করে প্যাভিলনে ফিরে যান।
দ্রুত উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ষষ্ঠ ওভারের মাথায় অন্য ওপেনার সাজ্জাদ হোসেন ৬ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এই ব্যাটসম্যানকেই ফেরার মোহিত।
শুরুদে দ্রতু দুই উইকেট হারানোর চাপ কিছুটা কাটিয়ে ওঠে অধিরনায়ক ক্যাপ্টেন হৃদয় ও মাহমুদুল হাসান জয়। দলীয় ৪২ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হিসেবে ৩৯ বল থেকে ২৫ রান করা মাহমুদুলকে ফেরান সির্ধাত দেশি।
এভাবে ব্যাটসম্যানদের টানা ব্যর্থতায় ২০ ওভারের মধ্যে ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় রান মাচের হাল ধরের আকবর আলী ও রিশাদ | এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্থি ফিরিয়ে আনেন। তারা দুজনে মিলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এ সময় বাংলাদেশের জয়টা অনেক সহজই মনে হচ্ছিল।
দলীয় ১৩৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে আকবর আলীকে ব্যাক্তিগত ৪৫ রানে ফিরিয়ে দিয়ে খেলায় ফিরে আসে ভারত। এরপর ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা শামীম হোসেনকে কেউই যোগ্য সমর্থদিতে পারেননি। দলীয় ১৪৭ রানে মৃত্যুঞ্জয় যান।
অষ্টম উইকেটে দলীয় ১৬১ রানে বাংলাদেশের শেষ ভরসা শামীম ৮১ বল থেকে ৫৯ রানে ফিরলে বাংলাদেশের জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায়। তার জায়গায় ব্যাট করতে আসা শরিফুল সকোনো রান যোগ না করেই প্যাভিলনে ফিরে যান। এ সময় বাংলাশের স্কোর ১৬১ রানে ৯ উইকেট।
দলের জীততে ৪০ বল থেকে ১২ রান প্রয়োজন। এ সময় ক্রিজে ছিলেন রকিবুল হাসান ও মিনহাজুর রহমান। মিনহাজুর একটি ৪ মেরে আবারে জয়ের আশা দেখায় বাংলাদেশকে। কিন্তু দলীয় ১৭০ রানের মাথায় ৮ বল থেকে ৬ রানে ব্যাট করা মিনহাজুরকে রান আউটে করেন রাদনি। এতেই সব আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।
এর আগে টসে জীতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে দলীয় ৩ রানের মাথায় ভারতীয় শিবিরে আঘাত আনেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জাইসওয়াল আর অনুজ রাওয়াতের ৬৬ রানের জুটি ভারতীয় দলকে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। ভংকর হয়ে ওঠা এই জুটিটি ভেঙে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়।
দলীয় ৬৯ রানের অনুজ ৩৫ রানে ফিরলেই ধ্বস নামে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে। পরের ১৮ রান তুলতেই ৩টি উইকেট হারায় তারা। যেখানে দলীয় ৭৭ রানেই জোড়া উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
সপ্তম উইকেটে আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারত। এ সময় বাদনি ও সামির চৌধুরি ব্যাট থেকে ৫৯ রানের জুটি ভারতীয় দলকে টেনে তোলে। দলীয় ১৩৬ রানে সময় বাদনি ব্যাক্তিগত ২৮ রানে ফিরে যান। তাকে ফেরান মিনহাজুর রহমান।
দলীয় স্কোর ১৫০ হলে ক্রিজে থাকা অন্য সেট ব্যাটসম্যান সামিরের উইকেট হারায় ভারত। শরিফুলের বলে ৬৭ বল থেকে ৩৬ রান করে প্যাভিলনে ফেরেন তিনি।
সামিরের বিদায়ের পর অজয় গ্যাংপুরম ছাড়া ভারতীয় আর কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশি বোলারদের সামনে। শেষ উইকেটে ৩৩ বল থেকে ১৭ রান করে তিনি বিদায় নিলে ১৭২ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন তৌহিদ হাসান, রিশাদ হোসেন ও মৃত্তুঞ্জন চৌধুরি।