সেনা দিবসে পাক সেনাবাহিনীর হেড কোয়ার্টারে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে গ্যালারিতে আসন গ্রহণ করেন শাহিদ আফ্রিদি। তার পর শান্ত হয়ে বসে মন দিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। তাল কাটল কিছুক্ষণ বাদে। হঠাৎ করেই মুখে কিছু একটা ঢোকালেন আফ্রিদি। তাও আবার লুকিয়ে। কিন্তু গোটা ঘটনাটাই ক্যামেরাবন্দি হল। আফ্রিদি জানতেও পারলেন না।
দর্শকদের মধ্যে বসেছিলেন আফ্রিদি। হঠাত্ই লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু একটা মুখে পুরলেন। আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হতে পারে, মুখে খৈনি পুরলেন পাক ক্রিকেটের 'লালা'। ঠিক যেমনভাবে মুখে খৈনি পোরা হয় আফ্রিদিও সেভাবেই সেই সন্দেহজনক জিনিস মুখ পুরলেন। চারপাশে সেনা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন বসে ছিলেন। মাঝখানে আফ্রিদি। এমন পরিবেশে লালা-র এই কাণ্ডকে মোটেও ভাল নজরে দেখছে না পাকিস্তানীরা। অনেকেই আফ্রিদির সমালোচনা শুরু করেছেন। সেনা দিবসে এসে আফ্রিদি এভাবে তামাক সেবন করেন কী করে! প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
যদিও আফ্রিদি এই ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ''আমি মুখে লবঙ্গ দিচ্ছিলাম। সেটাকে ভুলভাল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সেনা দিবসের মাহাত্ম্য আমি জানি। শহীদদের সম্মান জানাতেই আমি আর্মি হেড কোয়ার্টারে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কেমন আচার-ব্যবহার করতে হয় তা আমার জানা রয়েছে।''