বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার চামেলী খাতুন অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না।এমন সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি নজরে পড়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের।সেই সময় চামেলীর ফোন নম্বার সংগ্রহ করে তাৎক্ষনিকভাবে ফোন করে বিস্তারিত জানতে চান এবং চামেলীকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানান।
চামেলীকে আর্থিক সাহায্য করার ব্যাপারে ফিজ জানিয়েছেন, আমার পরিচিতদের মধ্য থেকেও টাকা-পয়সা ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কতটা হেল্প করতে পারি।
অন্যদিকে রাজশাহীতে থাকা চামেলী মোস্তাফিজ হেল্প করছেন মুঠোফোনে এ কথা শুনে কেঁদে ফেলেন। কাটার মাস্টারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান তিনি।শুধু চামেলী নয় মোস্তাফিজ অসহায় বিভিন্ন মানুষকে নিয়মিত সাহায্য করে থাকেন।
চামেলী সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। বলেছেন, তার বিশ্বাস সুস্থ হয়ে উঠলে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন। দেশকে অনেক কিছু দিতে চান বলে জানান তিনি।
আট বছর থেকে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিলো চামেলীর। লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর অর্থের অভাবে চামেলীল আর সুস্থ হয়ে ওঠা হয়নি। সেই সঙ্গে মেরুদন্ডে হাড়ের ব্যথা নিয়ে চলতে চলতে বর্তমানে মূমুর্ষ অবস্থায় পৌছেঁছেন তিনি। মেরুদন্ডে দুই হাড়ের ফাঁকে থাকা নরম ডিস্ক গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অবস হয়ে যাচ্ছে তার পুরো ডান পাঁ।
তাই চামেলী এখন দিনের বেশিরভাগ সময়ই একটা স্থানে বসেই পার করতে হয়। আস্থে আস্থে চলাচলের শক্তিও হারিয়ে ফেলছেন। তার এই অবস্থা থেকে উন্নতির জন্য অতি স্বত্বর দেশের বাইরে সার্জারির পরামর্শ চিকিৎসকের।যাতে প্রয়োজন অন্তত ১০ লাখ টাকা। কিন্তু প্রথম থেকে এত টাকার বন্দোবস্থ করা চামেলীর পরিবারের জন্য অসম্ভব।