অর্থের অভাবে ধুকে ধুকে মরছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় চামেলী খাতুন। গতকাল থেকে এমন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।অনেকেই এই সংবাদ শেয়ার করে বিসিবি বা সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে বিসিবির টনক না নড়লেও জাতীয় দলের পেস বোলার মোস্তাফিজের মনে দাগ কেটেছে।তাই চামেলীর দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
চামেলীকে নিয়ে মোস্তাফিজ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। বিষয়টি নজরে পড়ে ফিজের। তাৎক্ষনিকভাবে ফোন করে বিস্তারিত জানতে চান এবং চামেলীকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানান।শুধু চামেলী নয় মোস্তাফিজ অসহায় বিভিন্ন মানুষকে নিয়মিত সাহায্য করে থাকেন।
রাজশাহী নগরীর দরগা পাড়া এলাকায় “ক্রিকেটার চামেলী খাতুনের” নাম বললেই যে কেউ চিনিয়ে দেবে তার পৈত্রীক বাড়িটি। দুই জানালা এক দরজার জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি ঘরই এখন চামেলীর পরিবারের ঠিকানা।জাতীয় প্রমীলা ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এই চামেলীই দাপটের সাথে নিজের নৈপূণ্যতা দেখিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং প্রমীলা ক্রিকেটে। ২০১১ সালে অলরাউন্ডার হিসেবে জাতীয় প্রমীলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেন তিনি। তবে এরপর কেটে গেছে প্রায় সাত বছরের অধিক সময়। এই লম্বা সময় তাকে আর খেলার মাঠে দেখা যায়নি।
এখন প্রশ্ন অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং প্রমীলা ক্রিকেটে গ্রাউন্ডে এক সময় দাপিয়ে বেড়ানো মেয়েটিকে কেন এখন মাঠের বাইরে। সেটার উত্তর হচ্ছে আট বছর থেকে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর অর্থের অভাবে চামেলীল আর সুস্থ হয়ে ওঠা হয়নি। সেই সঙ্গে মেরুদন্ডে হাড়ের ব্যথা নিয়ে চলতে চলতে বর্তমানে মূমুর্ষ অবস্থায় পৌছেঁছেন তিনি। মেরুদন্ডে দুই হাড়ের ফাঁকে থাকা নরম ডিস্ক গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অবস হয়ে যাচ্ছে তার পুরো ডান পাঁ।
তাই চামেলী এখন দিনের বেশিরভাগ সময়ই একটা স্থানে বসেই পার করতে হয়। আস্থে আস্থে চলাচলের শক্তিও হারিয়ে ফেলছেন। তার এই অবস্থা থেকে উন্নতির জন্য অতি স্বত্বর দেশের বাইরে সার্জারির পরামর্শ চিকিৎসকের।যাতে প্রয়োজন অন্তত ১০ লাখ টাকা। কিন্তু প্রথম থেকে এত টাকার বন্দোবস্থ করা চামেলীর পরিবারের জন্য অসম্ভব।