সদ্য নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছেন টাইগার দলের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।জাতীয় দলের জার্সী গায়ে জড়ানোর জন্য এখনো মরিয়া এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান।রীতিমত নিজের সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন।অক্লান্ত পরিশ্রম আর দৃঢ় মনবলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।সম্প্রতি জাতীয় লিগে খেলা প্রতিটি ক্রিকেটারের ফিটনেস টেস্ট নেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।সেখানে আজ ফিটনেস পরিক্ষায় ১১.৪ স্কোর আশরাফুলের।
আশরাফুলের এমন ফিটনেস দেখে যে কারো চোখ কপালে উঠতে পারে।গত তিন মাসে ওজন কমিয়েছেন ৮ কেজি।সপ্তাহে ৫ দিন জিম করেন।যে কারণে গত পাঁচ বছর নিজ দায়িত্বেই ফিটনেস ঠিক রাখতে হয়েছে। আজকের বিপ টেস্টে আশরাফুলের চেয়ে বিপ টেস্টে ভালো করেছেন পেসার রকিবুল (১২.১৪)। ধারাবাহিক খেলার মধ্যে থাকা সৈকত আলী ও জাবিরের স্কোর আশরাফুলের সমান।
নিজের বিপ টেস্ট প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, অবশ্যই এটা খুবই ভাল একটা উদ্যোগ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে প্রতিটা দলের প্লেয়ারদের ফিটনেস টেস্ট নেয়া হচ্ছে। আজ আমাদের ঢাকা মেট্রোর ছিল। এই প্রস্তুতিটা আসলে খুবই দরকার। একটা টুর্নামেন্টের আগে যদি আমরা দল হিসেবে অনুশীলন করতে পারি, যার যার ফিটনেসের অবস্থা যদি আমরা জানি তাহলে ভাল হয়। আগে দেখা যেত আমরা দুই-তিনটা ম্যাচ খেলার পর ফিটনেস সম্পর্কে সচেতনতা আসত। এখন কিন্তু আমরা প্রায় সাবাই সচেতন। আজ ১১.৪ (১২ তে) এসেছে, বিপ টেস্টে যা খুবই ভাল। আশা করব যে সামনে আরও উন্নতি হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ বিরতির পর এমন স্কোর করা সহজ নয় আমি গত তিন মাস ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ন্যাশনাল লীগের জন্য। আমি প্রথম ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ফিট থাকতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম আমার ফিটনেস লেভেলটা যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের হয়। আমি ১৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি, অধিনায়কত্বও করেছি। তো আমি জানি যে আসলে কোন লেভেলে যেতে হয়। সেই জন্য মানসিকভাবে আপনাকে অনেক শক্তিশালী হতে হয়, শারীরিক ট্রেনিংও করতে হয়। এই বিপ টেস্টে ১১.৪ পাওয়া বা এর জন্য গত আড়াই মাস আমি ট্রেনিং করেছি। সেটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আশরাফুল বরাবর খাদ্য রসিক।তার পরেও ফিটনেস এখনো আগের মতই ধরে রেখেছেন কিভাবে সেটাও জানিয়ে দিলেন, সত্যি কথা বলতে গেলে, গত আড়াই মাসে আমি একদম ভাতের পরিমান খুবই কম করে খেয়েছি, একদম খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি বলতে পারেন। ডায়েট তো অবশ্যই আছে। সাথে সাথে আমি ট্রেনিং করছি। শুধু ডায়েট করলেই হবে, এটা আমি মনে করি না। ফিটনেস যদি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিতে হয় তাহলে আমাকে সেই লেভেলে ট্রেনিং করতে হবে। জিম, রানিং এর সাথে আমি ভাতের পরিমান কমিয়ে এনেছি। সবজি বা অন্যান্য জিনিস খাচ্ছি, এটা সত্যি আমি খুবই খাদ্য রসিক মানুষ। আমি খাওয়া পছন্দ করি, কিন্তু এখন আসলে খাওয়াটা বন্ধ করে দিয়েছি।