
 
												    নির্বাচনে জিতে সাংসদ হওয়ার পরে গতমাসে তুরস্কে গিয়ে বিয়ে করেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ নুসরাত জাহান। বিশিষ্ট শাড়ি ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার, রথযাত্রার দিনে সেই বিয়ের রিসেপশন অনুষ্ঠিত হল কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে। এই উপলক্ষ্যে গতকাল হোটেলে বসেছিল টলিউডের তারাদের মেলা। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তাবড় শিল্পপতিরাও।
তবে বহুজনের ভিড়েও সবার নজর টানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি। এদিন সন্ধেয় রিসেপশন পার্টিতে এসে তিনি আশীর্বাদ করেন শাসকদলের নতুন সাংসদ নুসরত জাহান এবং তাঁর স্বামী নিখিল জৈনকে। উপস্থিত ছিলেন আরেক নতুন নির্বাচিত সাংসদ-অভিনেতা মিমি চক্রবর্তী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এদিকে বিয়ে উপলক্ষে নুসরত অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে শপথ নিতে পারেননি। পরে তিনি এবং মিমি চক্রবর্তী আলাদা করে শপথ নেন। এদিন শুধু শপথ গ্রহণই নয়, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের দাবিও জানিয়েছেন নুসরাত। সেসময়ই স্ত্রীকে এভাবে দায়িত্বপূর্ণ জায়গায় দেখে তার যে গর্ব হচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন নিখিল জৈন।
প্রথম থেকে নিখিল জৈনের নানান পোস্ট দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে তিনি নুসরাতে মুগ্ধ। তবে নিযের সারা জীবনের সঙ্গীকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রিসেপশন এক প্রকার হুমকিই দিয়ে বসলেন তার সাংসদ ও অভিনেত্রী স্ত্রী!
নুসরাত গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে বলেন, ‘সারাটা জীবন এই একটা মানুষের সঙ্গে কাটাতে হবে, চাপটা বুঝতে পারছেন কি?’
যদিও স্ত্রীর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নুসরাতে মুগ্ধ নিখিল স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন ‘চাপ, হবে না।’
আর এরপরেই নিখিলের উদ্দেশ্যে নুসরাত বলেন, ‘তুমি যে প্রেসের সামনে এই কথাগুলো বললে সবাই কিন্তু শুনলো। সবাই কিন্তু আমার লোক নিখিল, তুমি ভেবেচিন্তে কথা বলো।’
যাই হোক, ভয় পাবেন না। নুসরাত অবশ্য এ সকল কথা বলছিলেন নেহাতই মজার ছলে, ঠাট্টার মেজাজে।
