অবৈধভাবে সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করায় নিপুণের কারণে পিকনিক বয়কট করেছেন শিল্পী সমিতির তারকা শিল্পীরা বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেতা জায়েদ খান। শিল্পী সমিতির পিকনিক আয়োজক কমিটির দায়িত্বে থাকা চিত্রনায়ক ইমন দাবি করেছেন, এবারের পিকনিক খুবই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে জায়েদ খান ইমনের দাবি মানতে নারাজ। জায়েদ খান দাবি করছেন, শিল্পী সমিতির পিকনিক চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নিপুণের কারণে এই পিকনিকে শিল্পীরা যাননি।
তিনি আরও দাবি করেন, ‘সব শিল্পীই জানে নিপুণ কিভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। অবৈধ দখলদারের পিকনিকে কেন যাবে বলেন? স্বাভাবিকভাবে যারা সচেতন শিল্পী তারা নিপুণের এই পিকনিক বয়কট করেছে। এটা নিপুণের দখলদারিত্বের জবাব বলতে পারেন। একটা বিষয় আদালতে বিচারাধীন আর তিনি নির্বিঘ্নে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, এই অন্যায় কেউ মেনে নেবে?
উল্লেখ্য, রাজধানীর অদূরে নরসিংদীর মাধবপুরের একটি রিসোর্টে শনিবার বনভোজন আয়োজন করে শিল্পী সমিতি। এ উপলক্ষে রাজধানীর বিএফডিসি থেকে সকালে ১০টি বাস ছেড়ে যায় মাধবপুরের উদ্দেশে। এবারের শিল্পী সমিতির পিকনিকে ববিতা, চম্পা, আলমগীর, মৌসুমী, ওমর সানী, শাকিব খান, ডিপজল, আরিফিন শুভ, সিয়াম, রুবেল, নুসরাত ফারিয়া, পূজা চেরী, অরুণা বিশ্বাস, সুচরিতা, শবনম, অপু বিশ্বাস, বুবলী, ববি, পরীমণি, নিরব ও জিয়াউল রোশান উপস্থিত ছিলেন না।
ছিলেন না এ সময়ের অভিনয়শিল্পী মিষ্টি জান্নাত, আঁচল, বিপাশা কবির, সুনেরা বিনতে কামাল ও আশনা হাবিব ভাবনারা। চলচ্চিত্র তারকা হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরীরও দেখা মেলেনি। দেখা যায়নি তিশা, ঐশী ও সালওয়াকে। এই শিল্পীদের উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে আমন্ত্রণ জানানোর দায়িত্বে থাকা চিত্রনায়ক ইমন বলেন, ‘আসলে দেখেন আলমগীর ভাই কলকাতায় গেছেন, ফারুক ভাই, সোহেল রানা ভাই অসুস্থ, বাকিদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা শুটিংয়ে ব্যস্ত, ফলে অনেকে উপস্থিত হতে পারেননি। এছাড়া পিকনিক সাকসেস হয়েছে।’