হেমন্তের বাতাসে জমে উঠেছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের আসর ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব’। পঞ্চমবারের মতো সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ লোকসংগীতের উৎসবের আজ তৃতীয় দিন।
এক নজরে দেখে নিন আজ মঞ্চ মাতাবেন যেসব শিল্পী-
মালেক কাওয়ালঃ বাংলা লোকসংগীতের এক অনন্য নাম মালেক কাওয়াল। চার দশকের বেশি সময় ধরে কাওয়ালী গান গেয়ে আসছেন তিনি। মালেক কাওয়ালের গানে হাতেখড়ি গুরু মহীন কাওয়ালের কাছে। পরবর্তীতে তিনি ওস্তাদ মরহুম টুনু কাওয়ালের কাছে তালিম নিয়েছেন। এছাড়া তিনি মাইজভান্ডারি গানেও পারদর্শী।
চন্দনা মজুমদারঃ চন্দনা মজুমদার মূলত লালন সংগীতশিল্পী। কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর পাড়ে জন্ম এই গুণী শিল্পীর। বাবা নির্মলচন্দ্র মজুমদার লালনগীতির শিল্পী হলেও তিনি চেয়েছিলেন নজরুলগীতি করুক চন্দনা। কিন্তু কুষ্টিয়া এলাকা এবং পারিবারিক পরিবেশ তাকে নিয়ে আসে লালনের সুরে। লালনের বাইরে রাধারমণ, হাসন রাজা, শাহ্ আবদুল করিমসহ বিভিন্ন গীতিকবির গান করেন তিনি। ২০০৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চন্দনা মজুমদার।
জুনুন (পাকিস্তান)ঃ উপমহাদেশের সংগীতপ্রেমীদের কাছে ‘জুনুন’ এক উন্মাদনার নাম। পাকিস্তানি এই ব্যান্ডটি সুফি ঘরানার গান দিয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে শ্রোতাদের মোহাবিষ্ট করে রেখেছে। ১৯৯৭ সালে নিজেদের চতুর্থ অ্যালবাম ‘আজাদি’ দিয়ে সারা উপমহাদেশে ঝড় তোলে জুনুন। অ্যালবামের প্রথম গান ‘সাইওনি’ পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশ- তিন দেশের শ্রোতাদের কাছেই তুমূল জনপ্রিয়তা পায়। সারা বিশ্বে ‘জুনুন’র ত্রিশ মিলিয়নেরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে।
সাত্তুমা (রাশিয়া)ঃ সাত্তুমা রাশিয়ান কারেলিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি। পারিবারিক এই ব্যান্ডটির যাত্রা শুরু ২০০৩ সালে। নিও ফোক ঘরানার গান নিয়ে সাত্তুমা ট্যুর করেছে ইউরোপের নানা প্রান্তে। মঞ্চে নানা ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট বাজিয়ে এক অদ্ভুত মূর্ছনায় দর্শককে আবিষ্ট করে রাখেন সাত্তুমার সদস্যরা। রাশিয়া, আমেরিকা, ফিনল্যান্ড, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, এস্তোনিয়া এবং জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের গান দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তারা।