সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নিয়ে সমালোচনার কমতি নেই। প্রতি বছরই এই আয়োজনকে ঘিরে নানা জল্পনার বাসা বাঁধে। নতুন বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন আগের বছরের বিজয়ী, এটাই সুন্দরী প্রতিযোগিতার রীতি। কিন্তু ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮ ’ এর অনুষ্ঠানে ডাকাই হয়নি ২০১৭ এর মুকুটজয়ী জেসিয়া ইসলামকে। এই আয়োজন নিয়ে নাটকীয়তার কমতি ছিলো না। অনেকেই এই সুন্দরী প্রতিযোগিতাকে ‘কমেডি শো’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন। নিজের বর্তমান অভিনয় জীবন এবং এই প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতার কথা বিডিমর্নিং আলাপনে জানিয়েছেন ২০১৭ সালের প্রতিযোগী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। সাক্ষাতে ছিলেন নিয়াজ শুভ-
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ এর অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো?
হিমিঃ প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এই আয়োজন হয়তোবা নতুনদের জন্য। আমি তো মিডিয়াতে সেই ২০১৪ সাল থেকে আর এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে আমি আগে থেকেই জানতাম। যাই হোক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের পর সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। একটা স্টেজ থেকে অন্য একটা স্টেজ পার করছিলাম তবে টপ টেনে যাওয়ার পর এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলে দেখলাম আমার পারফর্ম করা অংশটুকু নেই। পরে ফোন দিয়ে শুনি কোন একটা ঝামেলা হয়েছে যার কারণে আমার অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়েছে। এরপর ফাইনালের আগের দিন আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়। আর ফাইনালে কি হয় সেটা তো সবাই দেখেছেন।
ফাইনালের সেই ঘটনায়...
হিমিঃ আমি কিছুই জানতাম না। সময় সল্পতার অজুহাত দেখিয়ে ঐদিন অনুষ্ঠানের অনেক কিছুই করতে দেওয়া হয়নি। তবে শিনা চৌহান সেদিন নাম ভুল বলেননি। সেদিনের সেই ঘটনার পর আমি কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, কেননা এটা এনটিভির মত একটা চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে আর এখানে পেশাগত একটা ব্যাপার থাকে। ঐ ঘটনার পর অনেকেই আমকে ফোন দেয়, ফেসবুকে আমার জন্য পেইজ খোলে এই ঘটনা গুলো আমকে অনেক সাপোর্ট দেয়।
এই ধরনের ‘রিয়্যালিটি শো’ কে আয়োজকরা ‘কমেডি শো’ বানাচ্ছে, এ নিয়ে আপনার কি অভিমত?
হিমিঃ আমার মনে হয় আয়োজকরা প্রতিযোগীদের কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে পারছে না, যার কারণে এরকম হচ্ছে । আর তাদের ইগোর জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হব্ না হলে এই ধরনের শো ‘কমেডি শো’ই হবে। এই ধরণের আয়োজন ‘কমেডি শো’ হওয়ার পেছনে আয়োজকরাই দায়ী।
অভিনয় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
হিমিঃ ভালো ভালো চরিত্রে অভিনয় করা, মানুষ যেন অভিনেত্রী হিসেবে চিনতে পারে।
মানুষকে অভিনেত্রী হিসেবে চেনাতে আপনার প্রচেষ্টা কেমন?
হিমিঃ যখন কোন প্রজেক্ট আসে, তার জন্যে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। সিনেমা, নাটকে আমাকে কোন চরিত্র দেয়া হলে সেরকম চরিত্র ইন্টারনেটে দেখি। আয়নার সামনে প্রাকটিস করি, ফিট থাকি, প্রচুর মুভি দেখি।
সিনেমার জন্য আলাদা কোন প্রস্তুতির দরকার হয়?
হিমিঃ সিনেমা বিশাল একটা জায়গা। তবে ফিল্মে স্ট্যাবল হওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। যারা ফিল্মে কাজ করে তারা যদি একই সাথে নাটকে, টিভিসিতে অভিনয় করে তাহলে তাদের মধ্যে ওয়াওনেসটা থাকে না। এক এক রকম ফিল্মের জন্য এক এক রকমের অভিনয় জানতে হয়, যেমন আর্ট ফিল্মের জন্যে অভিনয় দক্ষতা থাকতে হয়, কমার্শিয়াল ফিল্মের জন্য নাচতে হয়।
প্রথম ছবিতে কেমন সাড়া পেয়েছেন?
হিমিঃ প্রথম ছবি হিসেবে অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি। তখন আমার পরীক্ষা চলছিল, তারই মাঝে প্রিমিয়ারের জন্য ইন্ডিয়াতে গিয়েছিলাম। অনেকেই পত্রিকায় ছবির খবর দেখে হলে এসেছে, যা আমাকে খুব অবাক করেছে।
প্রথম ছবিতে ভারত বাংলাদেশে যথেষ্ট প্রশংসিত হওয়ার পর বেশ কয়েকটি ছবি হাতে আসে। তবে সময়ের ব্যাস্ততা, চরিত্র পছন্দ না হওয়ার কারণে ছবিগুলোতে কাজ করা হয়নি।
এতক্ষণ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হিমিঃ আপনাকেও ধন্যবাদ।