দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির আয়োজনে ফের শুরু হলো ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রম। গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অভিনয় থেকে রাজনীতিতে আসা সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
অনুষ্ঠানে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেমন পুরনো ব্যক্তিত্বদের নিবেদন ও দায়িত্বের প্রয়োজন রয়েছে, তেমনিভাবে নতুন শিল্পীদের আবিষ্কারও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। বাংলাদেশের সংস্কৃতি বলয় যেভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে, তাতে চলচ্চিত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ফরজের মত হয়ে গেছে।’
২০১০ সালে তিনি চলচ্চিত্র ব্যবসা প্রসারের জন্য সিনেপ্লেক্স নির্মাণে ৭ শতাংশ ঋণ সুবিধা শুরু করেছিলেন জানিয়ে মুহিত বলেন, প্রেক্ষাগৃহ নির্মাতারা সেই সুবিধা গ্রহণ করছে না।
অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক আলমগীর অর্থমন্ত্রীর কাছে চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে দুইশো কোটি টাকার আবেদন জানান। এ বিষয়ে আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাৎক্ষনিক কোন ঘোষণা না দিলেও তিনি জানান, ‘কোন বাজেটের বিষয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘোষণা দেই না। এটি আমি মনে নিয়ে যাই। এতটুকু বলতে পারি কেউ কখনো নিরাশ হয়নি।’
অভিনেতা, অভিনেত্রী ও কলাকুশলী খুঁজে আনতে সাতটি শাখায় এ প্রতিযোগিতা হবে বলে জানান চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে খোলা হয়েছে একটি ওয়েবসাইট। যে ওয়েবসাইটে প্রতীকী প্রতিযোগী হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রমের সূচনা করেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন মুখের কার্যক্রমে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন, নায়ক আলমগীর, অভিনেত্রী গুলশান আরা চম্পা, জয়া আহসান, অভিনেতা-পরিচালক আফজাল হোসেন।
১৯৮৬ সালে শুরু হওয়া নতুন মুখের কার্যক্রম কর্মসূচির মাধ্যমে উঠে এসেছিলেন অভিনেতা মান্না, অমিত হাসান, খালেদা আক্তার কল্পনা, পারভীন সুলতানা দিতি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএফডিসির পরিচালক মো. আমির হোসেন, সংস্কৃতি সচিব নাসির হোসেন, অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল, চলচ্চিত্র পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন জেমি, আজিজুর রহমানসহ অনেকে।