Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাবিননামার সময় সিকিউরিটি বাবদ যে অর্থ সেটাকে এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিং: আসিফ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪৬ PM আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


কাবিননামার সময় সিকিউরিটি বাবদ যে অর্থ ইদানীং চাওয়া হয় সেটাকে এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিং বলে দাবি করেছেন শিল্পী আসিফ আকবর।শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, নিজের যৌবনের জাগরণ উঠেছে আমার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে। প্রশ্নও এসেছে ইয়াং জেনারেশনের পক্ষ থেকে। আমাদের সামাজিকতায় এমনিতেই নানান প্রতিবন্ধকতা। প্রথম প্রশ্ন থাকে, ছেলে ইনকাম করে কিনা! ফ্যামিলি স্ট্যাটাসও একটা ফ্যাক্টর। যে মেয়েটা প্রাপ্তবয়স্ক তার মতামতও জড়িয়ে থাকে সেম ফালতু প্রশ্নে। সমাজের অপ্রয়োজনীয় হিসেবে জীবন চলে এখানে। শরীয়ত মোতাবেক বিয়ের পদ্ধতি আদৌ মানা হয় কিনা জানি না। তবে কাবিননামার ক্যারিকেচারে উসুলের প্রেশারটা পাত্র নামের বিবাহ উন্মুখ ছেলেটাকে হতাশ করবেই। জিতে যেতে পারলে মঙ্গল। সমস্যা হলো সবাই জিততে পারে না।

কাবিননামার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাবিননামার সময় সিকিউরিটি বাবদ যে অর্থ ইদানিং চাওয়া হয় সেটা এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিং। একটা বিয়ের যোগ্য যুবক এই প্রেশারে পুরুষ হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যায়। ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য ভবিষ্যত নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠা অবশ্যই কিছুটা অবান্তর। বিয়ে মানেই একটা অনন্ত জীবনের হিসাব। সেখানে শর্ত আসলে তো বন্ধনের আসল সংযোগ পিছিয়ে যাবে। এটা অন্যায়। রাষ্ট্রের উচিত ম্যারেজ লোনটাকে সরল সুদের কিস্তিতে ফেলে দেওয়া। নিশ্চিত করতে হবে সংসার করার অধিকার। আরও একটা ঝামেলা আছে নারী নির্যাতন টাইটেলে। কোনো কারণে ঝামেলা হলেই ছেলেটাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার লাইন আদালত পর্যন্ত প্রায়ই যায়, জামিনবিহীন ভয়ংকর মামলা।

আসিফ আরও বলেন, অপরাধ বিবেচনায় প্রমাণের আগেই একটা ছেলে অসহায় হয়ে পড়ে। সব ছেলে ফেরেশতা হবে না, এটা মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই। সমাজের অসম চোখ রাঙানোকে উপেক্ষা করতে হবেই। এত শর্তের বেড়াজালে দীর্ঘ বৈবাহিক জীবন মেইনটেইন করা প্রতিটি পুরুষের জন্য এক ধরনের মানসিক টর্চার।ভরণপোষণ কিংবা মেয়েদের লাইফের সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে গিয়ে এদেশে আসলে পুরুষ নির্যাতনের অটো শাস্তিযজ্ঞ চলছে।

পোস্টের শেষে তিনি বলেন, নারী পুরুষের সাংসারিক সমঝোতা জরুরি। বিয়ে করতে চাওয়া ছেলেটাকে বাংলাদেশের সংবিধান না বুঝিয়ে স্বস্তি দেওয়া প্রয়োজন। কিছু বাই ডিফল্ট পুরুষ ছাড়া সবাই সংসার করে, বাবা হতে চায়। মন নরম করুন, অনাগত সুন্দর জীবন নামের ফুলগুলো ফুটতে দিন। আমি শিওর, বিয়ের মাধ্যমে শ্বাশত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। লেনদেন শুধু ঝামেলাই সৃষ্টি করে, অনন্ত ভালোবাসার জায়গায় হিসেব-নিকেশ ঢুকে যায়। চাপ সৃষ্টি আর নয়, ভালোবাসা খুঁজুন। আমার পরিবারের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক বেগম সালমা আসিফ নিজেই একজন অনন্য উদাহরণ। যিনি আমার সারা জীবনের হিস্যা, তার সঙ্গে লেনদেন বড্ড বেমানান। ভালোবাসা অবিরাম।

Bootstrap Image Preview