শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন নওশাবা আহমেদ। এরপর কিছুদিন হাজতবাসের পর পাঁচ হাজার টাকা মুচলেখা দিয়ে জামিনে মুক্তি পান। তারপর থেকে তিনি ফেসবুক ব্যবহার করছেন না। তবে কেউ একজন নওশাবার নামে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে শোবিজের অনেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে।
নওশাবার স্বামী এহসান রহমান জিয়া ১১ অক্টোবর তার ফেসবুকের দেয়ালে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
ওই পোস্টে জিয়া লিখেছেন, ‘কেউ একজন আমার ওয়াইফ নওশাবার নামে একটা ফেক আইডি ক্রিয়েট করেছে। সে মিডিয়ার অনেককে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে। অনেকেই এটাকে নওশাবার আসল আইডি ভেবে সেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেছেন, করছেন।’
‘যারা ইতোমধ্যেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেছেন প্লিজ এখনই আনফ্রেন্ড করেন। আইডিটাকে ব্লক করেন, রিপোর্ট করেন।’
নওশাবা এই মুহূর্তে নিজস্ব কোনো ফেসবুক আইডি ব্যবহার করছে না জানিয়ে জিয়া লিখেন, ‘সে কোনো ইমেইল ও ফোন ব্যবহার করছে না। কাজেই আমার ফোন নম্বর বা আমার ফেইবুক আইডি ছাড়া ওর নামে কেউ আপনাদের কারো সাথে ফেইবুক, ই-মেইল কিংবা ফোনে, এস এম এসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বুঝে নেবেন সেটা ফেক। আমার কাছেও জেনে নিতে পারেন সে রকম কোনো রিকোয়েস্ট পেলে।’
এদিকে ১৪ অক্টোবর আরেক পোস্টে এহসান রহমান জিয়া লিখেছেন, নওশাবার পক্ষ থেকে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনে এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
‘ফেসবুকে ইংরেজি অক্ষরে নওশাবা আহমেদ লিখে ব্রাউজ করলে যে তিনটি ফেসবুক-আইডি শো করে, তার সবকটিই ভুয়া। আইডিগুলো যেহেতু এখনো অ্যাক্টিভ দেখছি, সবাইকে এই ভুয়া তিনটি আইডির ব্যাপারে সতর্ক করতে আমার আগের পোস্টটা আবারও শেয়ার করছি।’
এর আগে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নওশাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর ৫ আগস্ট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)-১-এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
এরপর ৫ আগস্ট এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নওশাবার ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। তারপর দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গ্রেপ্তারের ১৬ দিনের নওশাবা জামিন পান। জামিন পাওয়ার পর আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন নওশাবা।