বিতর্কের আরেক নাম ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’। সুন্দরী অন্বেষণের এই প্রতিযোগিতাকে অনেকেই ‘কমেডি শো’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বেশ গোপনেই শুরু হয়েছিলো এবারের প্রতিযোগিতা। তবে গত বছরের রেশ ধরে রেখে এবারও বিতর্ক তৈরিতে ভুল করেননি সুন্দরীরা।
গত বছর এই প্রতিযোগিতায় সেরার মুকুট মাথায় পড়েছিলেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। কিন্তু তিনি বিবাহিত প্রমাণিত হওয়ায় তার মুকুট ছিনিয়ে নেয়া হয়। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে তুলে ধরার সুযোগ পান জেসিয়া ইসলাম।
এভ্রিলের মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে সেবার বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিলো। আর তাই এবার কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী। তখন তিনি বলেছিলেন, এবার যদি কোনো প্রতিযোগী মিথ্যা তথ্য দেন কিংবা তথ্য গোপন করেন, পরে তা প্রমাণিত হলে সেই প্রতিযোগীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান থেকে এমন ঘোষণা দিয়েও দমাতে পারেনি মিথ্যা তথ্য দেয়ার প্রবণতা। এভ্রিলের ধারা এবারও অব্যাহত রয়েছে। আর সেই পথে হেঁটেছেন আফরিন সুলতানা লাবণী। তিনি বিবাহিত। তার প্রাক্তন স্বামীর নাম আতাউর রহমান আতিক। ২০১২ সালের শেষের দিকে জামালপুর সদর বাগেরহাটা কলেজ রোডের বাসিন্দা আতিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লাবণীর। পরিচয় থেকে প্রেম। অতঃপর ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট জামালপুর কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। দুই বছর সংসার করার পর ২০১৬ সালের ১৭ মে বিচ্ছেদ হয় তাদের।
প্রসঙ্গত, বিচ্ছেদের পর লাবণীর নামে দুটি চুরির মামলা করেন তার স্বামী আতিক। মামলাগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। জানা যায়, লাবণী ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় ক্ষমতাবলে ২০১৬ সালের মামলা ২০১৮ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।