বাংলার রূপালি পর্দা থেকে বিদায় নেয়া লাস্যময়ী এক নায়িকার গল্প। সময়ের ব্যবধানে নিমিষেই নিজেকে সকলের আড়ালে নিয়ে গেছেন। যে ছিলেন আবেদনময়ী যার পোশাক ও চলনে ছিল আকর্ষণ করার ঢাল সেই আজ জীবন কাটাচ্ছেন সাদাসিধে ভাবে। গ্ল্যামার দুনিয়ার এই নাম হলো ঢালিউডের সাবেক ও একসময়ের জনপ্রিয় উঠতি তারকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
নাজনীন আক্তার হ্যাপি এখন মিডিয়ার একটি প্রাক্তন নাম। নিজের লাইফস্টাইল, চিন্তা, ধ্যান-ধারণা থেকে শুরু করে তিনি বদলেছেন নিজের নামও। পরিচয় নায়িকা থেকে সরিয়ে হয়েছেন ধর্মের প্রতি অনুগত।
সাবেক নায়িকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্মের নানান নিয়ম কানুন প্রচার করেছেন। নারীদের পর্দা বিষয়ে নিয়মিত স্ট্যাটাস দিয়ে তাদের সচেতনের চেষ্টা করেছেন।
তিনি একটি স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘যারা খাস পর্দা করতে চান কিন্তু খাস পর্দা করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পাচ্ছেন না তারা এই অনলাইন শপটা থেকে কিনতে পারেন। আর সত্যি কথা হলো, বাজারে বাহারি বোরখা, হিজাবের অভাব নেই। কিন্তু শরঈ পর্দার জন্য কিছুই পাওয়া যায় না। গুনাহের দিকে সবাই ডাকে, আর যারা গুনাহ থেকে বাচঁতে চায় তারা চেষ্টা করেও বাচাঁর রাস্তা খুঁজে পায়না। যারা পর্দা করতে চায় আল্লাহ যেন তাদের জন্য সহজ করে দেন।’
হ্যাপির ফেসবুক জুড়ে সব বোরকা পড়া ছবি আছে। যেখানে তিনি একা ও স্বামীর সাথে বোরকা পরেই সবরকম কাজ কর্ম করছেন বলে দেখা যায়। হ্যাপির ফেসবুকে তার আগের কোন ছবি নেই। সকল ছবি তিনি সরিয়ে নিয়েছেন।
নায়িকার বিয়ের আগে ও ক্যারিয়ারের উঠতি সময়ে তিনি বেশ কড়া সমালোচনা ও নিন্দার পাত্র হয়েছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করে। শয়ে সময়ের বেশ ভাল করেই আলোচনায় আসেন এই নায়িকা। হ্যাপি-রুবেল প্রসঙ্গ নিয়ে বেশ মাতামাতিও হয় এক সময়। তবে সবকিছু বাদ দিয়ে এখনও বেশ দূরে হ্যাপি।