বলিউড জগতের একটা সময় ভক্তদের অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। বিশেষ করে বলিউড বাদশার বহু ছবিতে তার গাওয়া গান বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে বর্তমানে গান গেয়ে আর আলোচনায় আসতে না পাড়লেও বিতর্কিত মন্তব্য করে বারে বারেই লাইম লাইটে চলে আসেন ভারতীয় এ গায়ক। এবার তাঁর নিশানা বলিউডের 'বাদশা' শাহরুখ খানের দিকে। অভিজিতের দাবি, শাহরুখকে তারকা বানিয়েছে তারই কন্ঠ। তাঁর জন্যই সুপারস্টার হতে পেরেছিলেন শাহরুখ খান। তিনি গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বাদশা খানের কেরিয়ার।
সম্প্রতি, ভারতীয় একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন অভিজিৎ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমার গলায় অনেক সুপারস্টার তৈরি হয়েছে। যত দিন শাহরুখ খানের জন্য গান গেয়েছি, ততদিন রকস্টার ছিলেন উনি। যেই বন্ধ করে দিয়েছি ওঁর পতন ঘটেছে। এতটাই পতন ঘটেছে যে আজ লুঙ্গি ডান্সে এসে পৌঁছেছেন।”
কেবল তাই নয়, তিনি আরও দাবি করেন ইন্ডাস্ট্রির কেউ তাঁকে বাদ দেননি, বরং তিনি নিজেই শাহরুখের হয়ে গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে তিনি জানান, “সামান্য একটা কারণেই শাহরুখের জন্য গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। ‘ম্যায় হুঁ না’ ছবির শেষ দৃশ্যে স্পট বয় থেকে শুরু করে ছবির সঙ্গে যুক্ত সক্কলকেই দেখানো হয়েছিল। বাদ গিয়েছিলেন শুধু গায়করা। ‘ওম শান্তি ওম’-এও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। সবাই ধুম তানা গানটা গাইছিল, যা কিনা আমার গলায়। কিন্তু কোথাও তা উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি। ওই ঘটনায় আমার আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছিল। কিন্তু যেচে আমার নাম যোগ করতে বলতে যাব কেন? আমার মধ্যে তো কোনও কমতি নেই। তা হলে আমি ওদের সামনে হাত পাতব কেন?”
এই মুহূর্তে নিজেকে বলিউডের অংশ বলে মানতেও নারাজ অভিজিৎ। তার কথায়, “এর চেয়ে নিজেকে সঙ্গীত জগতের অংশ বলতে ঢের ভাল লাগে।”
উল্লেখ্য, অভিজিতের এমন সব মন্তব্যের কবলে কেবল শাহরুখই পড়েননি আরও অনেকেই এর শিকার হয়েছেন। এর পূর্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় করণ জোহরকে সমকামি বলে উল্লেখ করে বিদ্রুপ করেন অভিজিৎ। শুধু তাই নয়, শাহরুখ, সালমান এবং আমিরকে নির্লজ্জ, পাকিস্তানি দালাল বলেও ছোট করেন।
এদিকে সালমান খানের পক্ষে মন্তব্য করেও বিতর্ক বাঁধান তিনি। ২০১৫ সালে গাড়ি চাপা মামলার শুনানি চলাকালীন সলমনের পাশে দাঁড়ান তিনি। এসময় তিনি বলেন, “কুকুর রাস্তায় শুলে তো মরবেই। গরিব বলে কি রাস্তা তাদের বাবার সম্পত্তি! একসময় আমারও ঘর বাড়ি ছিল না। কিন্তু কখনও রাস্তায় শুইনি।” প্রায় সব মহল থেকেই তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়।