সেন্সর বোর্ড থেকে ‘প্রদর্শনযোগ্য নয়’ জানানোর পর দৃশ্য বা সংলাপ কেটে আবার সেন্সর বোর্ডে জমা না দিয়ে বা আপিলের সুযোগ না নিয়ে ইউটিউবে মুক্তি পায় সিনেমা নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প।
সিনেমা হলে মুক্তি পেলে কত দর্শক সিনেমাটি দেখলেন তার হিসাব না পাওয়া গেলে অনলাইনে সব কিছুই জানা যায়।
বৃহস্পতিবার লাইভ রেডিও নামের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাওয়ার এক দিন পর দেখা যাচ্ছে সিনেমাটির ভিউ ৭০ হাজারেরও বেশি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রুবেল আনুশ পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তির ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই ৬৫ হাজার ভিউ হয়। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন ৪৮ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই ১ লাখ ভিউ হবে সিনেমাটির।
পরিচালক আনুশ বলেন, ‘আশা তো ছিল সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে দেখাব কিন্তু হলো না ইউটিউবে মুক্তি দিলাম। এখানে যেভাবে দর্শকদের সাড়া পেয়েছি, তা আমরা কেউই আশা করিনি। আমরা দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
ইউটিউব চ্যানেলে সিনেমাটির কমেন্ট বক্সে ইতিবাচক মন্তব্যের পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্যও রয়েছে।
এক দর্শক লিখেছেন, ‘অসাধারণ লেগেছে মুভিটা, আমাদের দেশে এত সুন্দর মুভি হবে ভাবতেই পারিনি। আগামীতে এরকম আরও হবে এই আশা করছি শুভকামনা রইল। পরিচালক এবং এর সঙ্গে জড়িত সবার জন্যে।’
আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম, মানে ২০১৪ সাল থেকে এই নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প সিনেমাটি দেখতে উৎসুক ছিলাম। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। ভালোবাসা ও অভিনন্দন টিমের জন্য।’
কিছুটা সমালোচনার সুরে এক দর্শক লেখেন, ‘গল্প খুবই ভাল। এক গল্প থেকে আরেক গল্পে সুইচ করাটা খুবই স্মার্ট ছিল। সেন্সরবোর্ড বোল্ড দৃশ্যগুলো কেটে দেয়ার কোনো কারণ খুঁজে পেলাম না। বেশ কিছু জায়গায় ক্যামেরার কাজ ভাল ছিল। কিছু জায়গায় মনে হয়েছে নাটকের ফ্রেমিং। কিন্তু ক্লোজ ট্রিটমেন্ট মূলত না থাকাটা অস্বস্তিকর ছিল। পারফরমারদের ইমোশন, এক্সপ্রেশন কিছুই বোঝা যায়নি। শুভকামনা নবীন এই নির্মাতাকে। আশা করছি আগামীতে আরও ভাল কাজ হবে।’
দর্শকদের এ আলোচনা-সমালোচনাকে ভালো দৃষ্টিতে দেখছেন আনুশ। তিনি বলেন, ‘দর্শকরা ভালো মন্দ সমালোচনা করছেন তার মানে তারা দেখছেন। তাদের সমালোচনাগুলো আমাদের সামনে পথ চলায় সহায়ক হবে।’
রুবেল আনুশ ২০১৪ সালের আগস্টে শুরু করেছিলেন ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিমলা, মামুন, মনিরা মিঠু, সোহেল খান, মোহাম্মদ সালমান, নোভাই নোভিয়া, মুনমুন আহমেদ মুন, আকাশ মেহেদি, একে আজাদ সেতু, শিমুল খান। এটি প্রযোজনা করেছে আনুশ ফিল্মস। সহ-প্রযোজক রেড পিকচার্স।
সিনেমার লিংক: