Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যেভাবে জানা গেল সোহেল-দিতির বিয়ের খবর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২১, ০২:২৮ PM আপডেট: ০৮ জুন ২০২১, ০২:২৮ PM

bdmorning Image Preview


আমজাদ হোসেন পরিচালিত হীরামতি ছবির সিলেট লোকেশনে ইউনিটকে দুই ভাগ করে রাখা হয়েছিল। একটি অংশ ছিল জৈন্তা বাজারে। আরেকটি অংশ ছিল তামাবিল যাওয়ার পথে টিলার উপর নলজুরি ডাকবাংলোতে। আমরা কয়েকজন ছিলাম ডাকবাংলোতেই। কিন্তু শোয়ার উপযোগী খাট ছিল মাত্র একটি কক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই একটি কক্ষের মধ্যে ফ্লোরিং করে থাকতেন আমজাদ হোসেন, চিত্রগ্রাহক বেবী ইসলাম এবং তার সহকারী বরুণ শংকর।

পরে অবশ্য বরুণ শংকর সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হন। এখনো তিনি এ পেশাতেই আছেন। আমি থাকতাম সামনের বারান্দায়। কারণ আমি রাত জেগে লিখতাম। এজন্য গভীর রাত পর্যন্ত লাইট জ্বলত। লাইটের কারণে যাতে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত না হয় সেজন্যই আমি বারান্দায় থাকতাম। কিন্তু আরেকটি কক্ষে কে থাকেন – এ প্রশ্নটি মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ইউনিটে সোহেল চৌধুরী ও দিতি রয়েছেন তারা কোথায় থাকেন? আমি গভীর রাতে ভিতরের কক্ষে প্রবেশ করে দেখলাম আমজাদ ভাই, বেবি ভাই এবং বরুণদা তখনো ঘুমাননি।

তারা সকালে কি শুটিং করবেন তার পরিকল্পনা তৈরি করছিলেন। একটু দ্বিধা করেই আমজাদ ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলাম সোহেল আর দিতি কোথায় থাকে। তিনি বললেন, যেখানেই থাকুক কাল সকালে শুটিং স্পটে তোমার সঙ্গে দেখা হবে। এখন গিয়ে ঘুমাও। তার কথা মেনে নিতে পারলাম না। বরুণদা চোখের ইশারায় আমাকে কক্ষটি দেখিয়ে দিলেন। আমি গিয়ে সেই কক্ষের কড়া নাড়তে শুরু করলাম। ভিতর থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছিলাম না। আমজাদ ভাই বললেন, থাক না ওরা এখন ঘুমাক।

আমজাদ ভাইয়ের এই কথা থেকে আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম ভিতরে সোহেল এবং দিতি আছেন। কিন্তু তারাতো বিয়ে করেননি। কড়া আরো জোরে নাড়লাম। সোহেল চৌধুরী দরজা খুলে আমাকে দেখে আমতা আমতা শুরু করলেন। আমি দ্রæত কক্ষে প্রবেশ করে শুয়ে থাকা দিতির পাশে গিয়ে বসলাম। দিতি শোয়া থেকে উঠলেন। দিতি বলেন, ‘আমি যখন শুনেছি ইউনিটে আপনি আসছেন, তখনই বুঝে গেছি আমরা ধরা পড়ে গেছি। আমি আগে থেকে মিষ্টিও এনে রেখেছি। বুঝতেই পারছেন আমরা দু’জনে বিয়ে করেছি।’ আমি আর মিষ্টির জন্য অপেক্ষা না করে দ্রæত কক্ষ থেকে বেরিয়ে বিয়ের খবরটি লিখতে বসে গেলাম। এই লেখা মুদ্রিত হয়েছিল তৎকালীন দৈনিক বাংলা, সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও আনন্দ বিচিত্রায়।

Bootstrap Image Preview