বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, বট গাছের নিচে অনেক উর্বরা শক্তি থাকলেও বড় আকারের কোনো গাছ হয় না। ঢাকার চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এটা বোধহয় অনেক বেশি প্রযোজ্য। রাজ্জাক তনয় বাপ্পারাজ, সম্রাট চলচ্চিত্রে এসেছিলেন। সম্রাট যেমন তেমন, বাপ্পারাজ ছিলেন একজন সুঅভিনেতা। তারপরও রাজ্জাকের উত্তরাধিকার হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন নি।
আনোয়ারার মেয়ে মুক্তি সুপারহিট ছবি দেওয়া সত্তে¡ও চলচ্চিত্রে টিকে থাকতে পারেননি। এটা সাধারণত হয়ে থাকে ইমেইজ ভেঙ্গে এগিয়ে যেতে না পারার কারণে। কিন্তু মুম্বাই চলচ্চিত্র এক্ষেত্রে একেবারেই ভিন্ন। সেখানে প্রজন্মান্তরে একই পরিবার থেকে অনেক তারকা তৈরি হয়েছে। এদেশেও অবশ্য একই পরিবারের তিন জন তারকা রয়েছেন। তারা হলেন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। তিনজন তিন ঘরানার হলেও এক স্থানে এসে ববিতা ও চম্পার মধ্যে একটা মিল আছে।
তারা দু’জনই সুকুমার মনোবৃত্তির শিল্পশোভন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। একজন হয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের অনঙ্গ বৌ, আরেকজন হয়েছেন গৌতম ঘোষ নির্মিত ‘পদ্মানদীর মাঝি’ ছবির মালা। কিন্তু এখন তারা প্রতিষ্ঠিত ইমেইজকে না ভেঙ্গে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছেন। অন্যদিকে কেউ কেউ একেবারেই ছিটকে পড়ছেন। শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত অপু বিশ্বাস নিজেকে এখনো অন্য নায়কের সঙ্গে প্রমাণ করতে পারেননি যে, তারও নিজস্ব একটা ইমেইজ আছে, যা বাণিজ্যিকভাবে সফল।
এছাড়া পারিবারিক নানা জটিলতার কারণে অপু বিশ্বাস দীর্ঘদিন থেকে পর্দা বিচ্ছিন্ন। সম্প্রতি তার একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। সেটা কোথায় কিভাবে প্রদর্শিত হয়েছে, তা বেশির ভাগ দর্শকই জানেন না। টিভি প্রিমিয়ারের সঙ্গে মূলধারার দর্শক এখনো অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। একই কথা বুবলীর বিষয়েও। তিনি দু’একটি ছবি শাকিব খানকে বাদ দিয়ে করলেও ঘুরেফিরে শাকিবের ছায়াতলেই আশ্রয় নিচ্ছেন। এখনো তিনি প্রমাণিত নন যে, শাকিবকে বাদ দিয়েই দর্শক তার বিষয়ে আগ্রহী। সেটা তিনি যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে তাকেও ঘুটিয়ে যেতে হবে। ইতোমধ্যেই এসব তারকাদের কারো কারো জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে শুরু করেছে বলে ব্যবসায়ী মহল থেকে শোনা যাচ্ছে।