ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সাদেক বাচ্চু মারা গেছেন। রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সাদেক বাচ্চুর মৃত্যুর বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান। মৃত্যুকালে সাদেক বাচ্চুর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাদেক বাচ্চুকে। হাসপাতালে ভর্তির পর করোনা পরীক্ষা করালে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) তার করোনা পজিটিভ আসে। তার অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ গুণী অভিনেতা।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরেণ্য এ অভিনেতাকে হারিয়ে শোক প্রকাশ করছেন তার ভক্ত ও অনুরাগীরা।
‘এই তো কয়েকদিন আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর সাদেক বাচ্চু আংকেল আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তখন আমি বাইরে ছিলাম, তখন আংকেলকে বলি বাসায় গিয়ে ফোন দেব। কিন্তু বাসায় ফিরতে অনেক রাত হওয়ায় আর ফোন দিতে পারিনি। তার পরদিনও ফোন দেওয়া হলো না। পরে আমি যখন ফোন দিলাম, তখন তিনি হাসপাতালে। কিন্তু উনি আমাকে কী বলতে চেয়েছিলেন তা আমার মনে প্রশ্নই থেকে গেল। এখন আফসোস লাগছে, এই আফসোসটাই সারাজীবন থাকবে।’ এ কথাগুলো বলছিলেন চলতি সময়ের চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা।
আইরিন জানান, সাদেক আংকেল অসুস্থ হওয়ার আগে মাঝেমধ্যে কথা হতো উনার সাথে। গত বছরের নভেম্বরে মুক্তি পায় পদ্মার প্রেম। এটা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমা দেওয়া হয়। এ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হতো। করোনার সময়ে অনেক কথা হয়েছে।
আইরিন সুলতানা সাদেক বাচ্চুর সাথে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম অভিনয় করেন একসাথে। এ ছবিটিতে বাবা ছিলেন সাদেক বাচ্চুর। এরপর পদ্মার প্রেমসহ আরো দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আইরিন। যার প্রতিটি ছবিতেই বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সাদেক বাচ্চু সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাঁচ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা সাদেক বাচ্চু ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর তার করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। একদিন পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি কোভিড ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন।