আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খানের বিরুদ্ধে বিদেশে মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ উঠেছে। পুরনো অভিযোগ নতুন করে উঠায় বেশ বিপাকে আছেন এই তারকা।
২০১১ সালের একটি মামলায় ফেমা আইনে পাকিস্তানি এই গায়ককে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছিলো। সেই সময় দিল্লি বিমানবন্দরে ফতেহ আলীকে আটকও করেছিলো ডিআরআই। কারণ ফেমা নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিদেশি নাগরিক পাঁচ হাজার ডলারের বেশি নগদ টাকা সঙ্গে নিয়ে কোথাও যেতে পারবেন না। দীর্ঘ আট বছর পর দুই কোটি ভারতীয় রুপি নেয়ার ক্ষেত্রে বৈদেশিক লেনদেন নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ মাথা চারা দিয়ে উঠেছে।
রাহাত ফতেহ আলি খানকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে ইডি (ভারতীয় তদন্তকারী)। জানা গেছে, ৪৫ দিনের মধ্যে তার কাছ থেকে জবাবদিহিতা চেয়েছে তদন্তকারীরা।
এর আগে ২০১৫ সালে রাহাত ফতেহ আলী খানের বক্তব্য রেকর্ডের জন্য আদেশ জারি করেছিল ইডি। সেই সময় ইডির জিজ্ঞাসাবাদে রাহাত ফতেহ আলি কোনো অন্যায় করেননি বলে জানিয়েছিলেন। বড় অংকের টাকা তার ঘনিষ্ঠরা সঙ্গে রেখেছিলেন। কারণ, তারা একটা দল নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলেন বলে যুক্তি দিয়েছিলেন ফতেহ।
দোষী প্রমাণিত হলে তার ৩০০ শতাংশ জরিমানা হতে পারে। জরিমানা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হতে পারে। ফলে তিনি ভারতে আর কোন অনুষ্ঠান করতে পারবেন না।