Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ট্রেইলারেই ঝড় তুলেছে ‘জন উইক: চ্যাপ্টার ৩’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:২৩ PM আপডেট: ১৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:২৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


'জন উইক' একজন সাবেক হিটম্যান। সবকিছু ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চান তিনি। কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়াদের সেই অন্ধকার জগৎ তার পিছু ছাড়ে না। এমনি গল্প নিয়ে তৈরি কিয়ানু রিভসের দুর্ধর্ষ জন উইকের চরিত্র। এবার মুক্তি পেয়েছে সিরিজের তৃতীয় কিস্তি। ছবির ট্রেইলার প্রকাশের পরই ঝড় উঠেছে হলিউডে। প্রথম-দ্বিতীয় কিস্তির মতোই গতিশীল অ্যাকশন দৃশ এরই মধ্যে দর্শকের প্রত্যাশা বাড়িয়ে তুলেছে।

সিরিজের এ পর্বে জন উইককে দেখা যাবে নতুন ফর্মে। এবার তিনি নিউইয়র্ক ছাড়বেন। আরও অভিনয় করেছেন অ্যাঞ্জেলিকা হিউস্টন। এটি পরিচালনা করেছেন ক্যাড স্টেহলস্কি।

‘জন উইক: চ্যাপ্টার ৩’ ২০১৯ সালের ১৭ মে মুক্তি পাবে। এর আগে ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জন উইক’ ও ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জন উইক: চ্যাপ্টার ২’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন কিয়ানু চার্লস রিভস।

২০১৪ সালের ‘জন উইক’ সিনেমাটির কথা সিনেমাপ্রেমীদের মনে আছে নিশ্চয়ই। জন উইক ছিল একজন হিটম্যান। আন্ডারওয়ার্ল্ডের কোনো সংস্থার হয়ে খুনোখুনি সংক্রান্ত কাজ করতো অর্থের বিনিময়ে। তবে ভেতরে একটা নরম সত্ত্বা ঠিকই বজায় ছিল । ভালোবাসার মানুষটির টানে একসময় তাই সে ছেড়ে চলে আসে অন্ধকার সেই জগৎ।

জন উইকের প্রথম সিনেমায় দেখা যায়, ভালোবাসার যে মানুষটির জন্য সবকিছু ছেড়েছুড়ে চলে এসেছিল সেই মানুষটিই দুর্ঘটনায় কিংবা পরিকল্পিতভাবে মারা যায়। ভালোবাসার মানুষটি চলে গেলেও তার স্মৃতি হাতড়ে হাতড়ে অল্প অল্প করে ভালোবাসা খুঁজে নিয়ে বাঁচতে থাকে প্রাক্তন এই হিটম্যান। প্রেয়সীর অনুপস্থিতিতে তার একাকীত্ব দূর করতে প্রেয়সীর কাছ থেকে সে উপহার পায় খুব চমৎকার একটি কুকুরছানা।

সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল, কিন্তু সমস্যা বাধায় ‘কানে বাতাস লাগা’ এক ছেলের অদূরদর্শী আচরণ। বাপের যদি অঢেল টাকা থাকে আর সন্তান যদি লাগামহীন  ছাড়া থাকে তাহলে কাউকেই চোখে লাগে না। সামনে যাকে দেখে তাকেই ছোট বলে মনে করে। বাপের টাকা আছে, তাই সমস্ত দুনিয়াটাই যেন তার। তেমনই একদিন তার সামনে এসে পড়লো জন উইক। উইকের গাড়ির চমৎকার বডি ও ক্ষমতাবান ইঞ্জিন দেখে মুড়িমুড়কির মতো কিনে ফেলতে চায় ছেলেটি। উইক গাড়ি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় সে ও তার বন্ধু এক গাধাসুলভ কাজ করে বসে। রাতে উইকের বাসায় গিয়ে ঘুমের ঘোরে তাকে পিটিয়ে আসে। আসার আগে আদরের কুকুরটিকেও মেরে দিয়ে আসে।

ঐ যে স্মৃতি, আবেগ আর মায়ার একটা অংশ ছিল তার মাঝে, সেখানে পড়লো ঘা। কংক্রিটের মেঝের নীচে কবর দিয়ে রাখা অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি বের করে সেগুলো নিয়ে পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ড দফারফা করে দেয়। আক্ষরিক অর্থেই তাদের বাপের নাম ভুলে যায়। জন্মের শিক্ষা হয় তাদের, মনে থাকলে কোনোদিন জন উইককে ঘাঁটাতে আসবে না। অনেক ক্ষমতাবান শক্তিকে জন্মের শিক্ষা দেয়া এবং বাপের নাম ভুলিয়ে দেবার জন্য কেমন এবং কী পরিমাণ অ্যাকশন থাকা প্রয়োজন বলে মনে হয়? যতটুকু প্রয়োজন মনে হয় তার থেকে কোনোদিক থেকেই কম নেই এই মুভিটিতে। সেজন্যই সাধারণ গল্প হওয়া সত্ত্বেও এই মুভিটি মানুষের মনে এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছিল।

এরপর সিনেমাপ্রেমীদের জন্য এলো সেই অ্যাকশনধর্মী ‘জন উইক’ সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তি ‘জন উইক: চ্যাপ্টার টু’। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, জন উইক একজন সাবেক হিটম্যান। সবকিছু ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চান তিনি। কিন্তু ঠিক সেই সময় এক ইটালিয়ান বংশোদ্ভূত মাফিয়া তার কাছে এক প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিলে এর জন্য তাকে যথেষ্ট মূল্যও দিতে হয়। আর তখনি তিনি সিদ্ধান্ত নেন কাজটি তিনি করবেন। সেই কাজটি করতে গিয়ে একের পরে এক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েন তিনি। দুরন্ত সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে সামনে এগিয়ে যায় জন উইক।

 

Bootstrap Image Preview