Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেহব্যবসার অভিযোগ যেসব অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৩০ PM আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৩০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ভারতীয় বিনোদন জগতে একাধিকবার অভিনেত্রীদের নামে মধুচক্রে জড়িতে থাকার অভিযোগ উঠেছে। কখনও প্রত্যক্ষ ভাবে, কখনও বা পরোক্ষ ভাবে দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে কয়েকজন পরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম।

তামিল বিনোদন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ সঙ্গীতা বালন। ‘বীণারানি’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুবাদে রোজ পৌঁছে যাচ্ছিলেন দর্শকদের বৈঠকখানায়। আচমকাই কাটল সুর। ২০১৮-র জুন মাসে অভিযোগ ওঠে, তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি দিনের পর দিন মধুচক্র চালিয়ে এসেছেন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায় চেন্নাইয়ের পানায়ূড়ের একটি রিসোর্টে। উদ্ধার করা হয় ভিন রাজ্য থেকে আসা বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীকে। পুলিশের দাবি, এই রিসোর্টে দেহব্যবসা চালাতেন সঙ্গীতা। অভিযোগ ওঠে, ছবিতে অভিনয়ের টোপ দিয়ে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের এই চক্রে আনা হত।

অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার নামের সঙ্গে বারবার জড়িয়ে গিয়েছে বিতর্ক। তার ছবি ‘কামসূত্র থ্রি ডি’ মুক্তির আগেই ভাইরাল হয়ে যায় এর ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। তবে এরপরে তিনি এই প্রজেক্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।

কয়েক বছর আগে শার্লিনের নামে অভিযোগ উঠেছিল মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ জলঘোলা হওয়ার আগেই মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি।

অকপটে শার্লিন বলেন, “সিনেমার ডাক না এলে টাকা-পয়সা কোথা থেকে আসবে? আর এই পয়সার কারণেই আমাকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে বেডরুম অবধি ছুটতে হত।”

শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের নামেও উঠেছিল মধুচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের গোড়ায় হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেকে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে সময় সংবাদমাধ্যমে হায়দরাবাদ পুলিশের তরফেই শ্বেতার একটি বিবৃতি পাওয়া গিয়েছিল।

সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, অভাবে পড়েই নাকি যৌনপেশায় জড়িয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। পরবর্তীকালে হায়দরাবাদের আদালত শ্বেতাকে ক্লিন চিট দেওয়ার পরক্ষণেই সংবাদমাধ্যমকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। ‘মাকড়ি’ ও ‘ইকবাল’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র শ্বেতা সেই চিঠিতে দাবি করেছিলেন, ধরা পড়ার পরে তাঁর যে ‘স্বীকারোক্তি’র কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো।

অভিযোগের কলঙ্ক কাটিয়ে পরে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসেন শ্বেতা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন পুরনো বন্ধু এবং পরিচালক রোহিত মিত্তলকে।

কিন্তু এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নিজের ইনস্টা স্টোরিতে শ্বেতা লিখেছেন, ‘রোহিত এবং আমি দু’জনেই যৌথ ভাবে সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’

অভিনেত্রী আরশি খানের বিরুদ্ধেও ভারতে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এই অভিযোগ তিনি বরাবর অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, জীবনে কোনওদিনই মধুচক্রে জড়িত ছিলেন না। তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল। সূত্র-আনন্দবাজার

Bootstrap Image Preview